জাহাজ ভাঙা শিল্পে (জাহাজ রিসাইকেল বা পুনর্ব্যবহার উপযোগী করা) আবারো বিশ্বের শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ। গত বছর বিশ্বের অর্ধেকের বেশি জাহাজ বাংলাদেশে রিসাইকেল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা আঙ্কটাড -এর ‘রিভিউ অব ম্যারিটাইম ট্রান্সপোর্ট ২০২০’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এ শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের তথ্য মতে, একটি জাহাজ ভেঙে টুকরো টুকরো করে সব সরঞ্জাম পুনর্ব্যবহার উপযোগী করাই হচ্ছে রিসাইকেল। আর এ কাজটিই বিশ্বব্যাপী জাহাজ ভাঙা শিল্প নামে পরিচিত।
আঙ্কটাড জানায়, জাহাজ ভাঙা শিল্পে বাংলাদেশের পরের অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে ভারত ও তুরস্ক। আর এ তিন দেশ মিলে গত বছর বিশ্বের ৯০ দশমিক ৩ শতাংশ জাহাজ রিসাইকেল করেছে।
২০১৮ সালেও এ শিল্পে বিশ্বের শীর্ষ অবস্থান ছিল বাংলাদেশের। সে বছর যত জাহাজ ভাঙা হয়, তার ৪৭ দশমিক ২ শতাংশই ছিল বাংলাদেশে।
এদিকে ‘রিভিউ অব ম্যারিটাইম ট্রান্সপোর্ট ২০২০’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালে বিশ্বের ৫৪ দশমিক ৭ শতাংশ জাহাজ রিসাইকেল করে বাংলাদেশ। ভারত ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ ও ৯ শতাংশ রিসাইকেল করে তুরস্ক।
আর চতুর্থ স্থানে থাকা চীন রিসাইকেল করে ৩ দশমিক ১ শতাংশ এবং পঞ্চম স্থানে থাকা পাকিস্তান রিসাইকেল করে ২ দশমিক ২ শতাংশ। বাকিরা রিসাইকেল করে মাত্র ৪ দশমিক ৪ শতাংশ।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে ২০১৭ সালের চেয়ে ২০১৮ সালে জাহাজ রিসাইকেল বা ভেঙে পুনর্ব্যবহার উপযোগী করার পরিমাণ ২৯ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। তবে ২০১৯ সালে এসে তা আগের বছরের চেয়ে ২২ দশমিক ৭ শতাংশ কমে যায়।