স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষরিত শুভেচ্ছা চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ণাঢ্য ও যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনে গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির প্রথম সভার কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য জানা গেছে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী ও কমিটির সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় বছরব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে ভারত, রাশিয়াসহ বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্তসহ জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে বিদেশি রাষ্ট্রনায়কদের ভাষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত। স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরাঙ্গনাসহ সব মুক্তিযোদ্ধার অবদান নিয়ে দেশব্যাপী ধারাবাহিক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ উত্তরীয়, টি-শার্ট, ক্যাপ, বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধাদের শাড়ি, শাল ইত্যাদি উপহার দিতে জেলা-উপজেলায় বরাদ্দ দেওয়ার জন্য সভায় সিদ্ধান্ত হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে এবং
উপজেলা পর্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ হবে। একই সঙ্গে ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ চালু করা হবে।
মিত্রবাহিনীর যারা ১৯৭১ সালের যুদ্ধে জীবন নিয়েছেন তাদের স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হবে। ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ২৬ মার্চ এটি যৌথভাবে উদ্বোধন করতে পারেন বলেও সভায় জানানো হয়। আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। এ জন্য গত ১৪ ডিসেম্বর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ণাঢ্য ও যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটিতে মন্ত্রিসভার ৯ সদস্য ও সহায়তাকারী হিসেবে ১৪ কর্মকর্তা রয়েছেন।