ডেস্ক নিউজ
নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, দেশে ডিজেল ও কেরোসিনের লিটার ৮০ থেকে ১১৪ টাকা, অকটেনের লিটার ৮৯ থেকে ১৩৫ টাকা, পেট্রোলের লিটার ৮৬ থেকে করা হয়েছে ১৩০ টাকা।
আসুন দেখে নেই সারা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনামূলক অবস্থা
ভারত
প্রতিবেশী দেশটিতে বর্তমানে অকটেনের দাম প্রতি লিটার ১০৬ রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩৭ টাকা ৮০ পয়সা। আর পেট্রোল ১৩৬ টাকা ও ডিজেল ১২০ টাকা।
ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর আগে অর্থাৎ দুই মাস আগেও ভারতের বাজারে সব জ্বালানি তেলের দাম ছিল অন্তত ১০-১২ টাকা করে কম। তবে পরে দাম সমন্বয় করে মূল্যবৃদ্ধি করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রে গত কয়েকমাসে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটিতে বর্তমানে পেট্রোল কিনতে ব্যয় হচ্ছে ৫ ডলার। কোথাও কোথাও আরও বেশি। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর দাম ১৩৫ টাকা। যা দুই মাস আগেও ছিল ১০০ টাকার নিচে। দামের এই ঊর্ধ্বগতির কারণ হিসেবে দেশটির প্রশাসন ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধকে দায়ী করেছেন। দেশটি এই মূল্যবৃদ্ধি রোধ করতে পারছে না।
দক্ষিণ কোরিয়া
দুই মাস আগে দক্ষিণ কোরিয়াতে প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রি হতো ১ ডলারের নিচে অর্থাৎ ১০০ টাকা করে। পরে দাম বৃদ্ধি করে ১.৫ ডলার করা হয়। এতে বাংলাদেশের মুদ্রায় ডিজেল বিক্রি হচ্ছে ১৪৪ টাকায়।
অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়াতে গত কয়েকমাসে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটিতে বর্তমানে প্রতি লিটার পেট্রোল কিনতে ব্যয় হচ্ছে ২ ডলার। বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১৫০ টাকা করে। আর ডিজেলের দাম ১৬০ টাকা করে।
যা দুই মাস আগেও ছিল ১২০ টাকার মধ্যে। মূলত ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে দামের এই ঊর্ধ্বগতি।
ফ্রান্স
ইউক্রেনে অভিযানের আগে দেশটিতে পেট্রোল বিক্রি হতো ১ ইউরো ৪০-৫০ সেন্ট ও অকটেন ১ ইউরো ৬০-৭০ সেন্ট করে অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় এর দাম যথাক্রমে ১৫০-১৬০ টাকা ছিল।
তবে যুদ্ধের প্রভাবে ফ্রান্সে এখন প্রতিলিটার অকটেনের দাম ১ ইউরো ৯৬ সেন্ট। বাংলাদেশের মুদ্রায় অকটেনের দাম এখন ২২০ টাকা, পেট্রোল ২৩২ ও ডিজেল ২২৪ টাকা।
জার্মানি
দেশটিতে বর্তমানে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ১ ইউরো ৮৯ সেন্ট। বাংলাদেশের মুদ্রায় ১৮৯ টাকা। তবে দুই মাস আগেও সেখানে দাম ছিল ১ ইউরো ১০-১৫ সেন্ট। বাংলাদেশের মুদ্রায় ১১৫ টাকা। পেট্রোল ১৭৫ টাকা।
এশিয়ার অন্যান্য দেশ যেমন-নেপালে ডিজেল প্রতি লিটার ১২৭ টাকা, ইন্দোনেশিয়ায় ১৩৮, সিঙ্গাপুরে ১৮৯, চীনে ১১৮, আরব আমিরাতে ১২২.৮০ এবং হংকংয়ে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য দেশ অনেক আগেই তাদের জ্বালানির দাম বাড়িয়েছে। আর বাংলাদেশ সরকার ভর্তুকি দিয়ে এসেছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার জন্যও অপেক্ষা করেছে।