এসএসসি, এইচএসসি বা যেকোনো পরীক্ষার রেজাল্টের জিপিএ বাড়িয়ে দেয়ার নামে প্রতারণা করছে একটি চক্র। এই ফাঁদে পড়ে টাকা খুইয়েছেন অনেকে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি; এই চক্রের একজনকে মুন্সিগঞ্জ থেকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
টাকা দিলেই বাড়ানো হবে জিপিএ–সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিশেষ কিছু পেইজ ও গ্রুপে দেয়া হয় এমন বিজ্ঞাপন। বাস্তবে এ ধরনের কোনো সুযোগ না থাকলেও এই ফাঁদে পড়ছে অনেকেই। আর এবার যেহেতু করোনার কারণে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ভিত্তিতে এইচএসসির ফল দেয়া হবে। তাই এই সুযোগ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় বিভিন্ন চক্র।
এমডি সাইফুল তাজ নামে ফেসবুকে একাউন্ট খোলে এই চক্রের এক সদস্য। ব্যক্তিগত পরিচিতিতে লেখা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের টেকনিশয়ান। ফেসবুক একাউন্টটিতে দেখা যায় চটকদার বিজ্ঞাপন। আর প্রমাণ হিসেবে ফল পরিবর্তন করা হয়েছে দাবি করে জুড়ে দেয়া হয় অনেকের ভুয়া ছবি। প্রোফাইলে রাখা হয় শিক্ষামন্ত্রীকে ফুল দেয়ার ছবিও।
তবে এসবের কিছুই জানতেন না যার ছবি ব্যবহার করা হয়েছে সেই শরফুল ইসলাম। ফেসবুকে এসব ছবি ছড়িয়ে পড়লে মামলা করেন তিনি।
গেলো বুধবার গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম টিম আটক করে ওই একাউন্টের ব্যবহারীকে। আটকের পর সব স্বীকার করে সেই প্রতারক।
এভাবে কোনো পরীক্ষার ফল পরিবর্তনের সুযোগ নেই বলছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাই প্রতারকচক্র থেকে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ড সচিবের।
ভুয়া বিজ্ঞাপন দিয়ে যারা প্রতারণা করছে, তাদের সবাইকে ধরতে নিয়মিত অভিযান চালানোর কথা জানিয়েছে পুলিশ।