ডেস্ক নিউজ
করোনাভাইরাসের টিকা কেনা ও সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার আওতা বাড়াতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশকে ৯৪ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তায় আশ্বাস দিয়েছে। বর্তমান বিনিময় হার (১ ডলারে ৮৫ টাকা) অনুযায়ী বাংলাদেশী মুদ্রায় এই সহায়তার পরিমাণ সাত হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে ঋণ হিসেবে এটাই বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় সহায়তা। খবর বিডিনিউজের।
সম্প্রতি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে ভার্চুয়াল আলোচনায় এডিবি এই ঋণ সহায়তায় সম্মতি দেয়। চলতি মাসে এই ঋণ সহায়তার বিষয়টি ম্যানিলায় এডিবির সদর দফতরে অনুষ্ঠেয় বোর্ড সভায় অনুমোদন পেলে সরকারের সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তিতে যাবে এডিবি। এ প্রসঙ্গে ইআরডির এডিবি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব পিয়ার মোহাম্মদ বলেন, সম্প্রতি আমরা এডিবির ঢাকা কার্যালয়ের সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিং করেছি। বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনার পর তারা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে ৯৪০ মিলিয়ন ডলার দেয়ার আগ্রহ দেখায়। ঢাকা কার্যালয়ের এই সিদ্ধান্ত সুপারিশ আকারে ম্যানিলায় সংস্থাটির সদর দফতরে প্রেরণ করবে। এরপর বোর্ড সভায় এ মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে পারে। এরপর সরকারের সঙ্গে এডিবির চূড়ান্ত ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।
গত নবেম্বরে করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে এডিবির কাছে ৫০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা চেয়ে চিঠি দেয় সরকার। কিন্তু এডিবি তার চেয়ে বেশি সহায়তা দিচ্ছে। পিয়ার মোহাম্মদ বলেন, ‘বৈঠকে এডিবি জানিয়েছে কোভিড-১৯ এর টিকা কেনার জন্য প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশের জন্য ৯৪০ মিলিয়ন বা ৯৪ কোটি ডলার ধরা হয়েছে। এডিবি বাংলাদেশকে পুরোটাই দিতে চায়। আমরাও এতে রাজি হয়েছি। ইআরডির এই কর্মকর্তা জানান, প্রস্তাবিত ঋণের অর্ধেক বা ৪৭ কোটি ডলার ‘নমনীয় ঋণ’ বা ২ শতাংশ হারে সুদ হবে।
বাকি অর্ধেকের বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে লন্ডন আন্তঃব্যাংক লেনদেন হারের (লাইবর) সঙ্গে দশমিক ৫ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট চার্জ আরোপ করা হতে পারে। বর্তমান লাইবর সুদ হার এক শতাংশেরও কম। বর্তমান হার অনুযায়ী এক দশমিক পাঁচ শতাংশের মতো সুদ হার হতে পারে। এই খাতের ঋণের জন্য কখনও সুদের হার সাড়ে তিন শতাংশের বেশি হয় না। পাঁচ বছরের রেয়াতকালসহ ৩০ বছরে এই ঋণ ফেরত দিতে হবে।
এর আগে গত ১৮ মার্চ বিশ্বব্যাংক করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে বাংলাদেশের জন্য ৫০ কোটি ডলার অনুমোদন দিয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে এ সংক্রান্ত চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে।