টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ার পর বিকল্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সক্রিয় হওয়ার কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এ ছাড়াও, তিনি নিজস্ব একটি সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম চালু করার কথাও ভাবছেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
আজ শনিবার ফক্স নিউজ জানায়, শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ।
এরপরই অন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প।
তবে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট না, রিয়েলডোনাল্ড ট্রাম্প অ্যাকাউন্টটি স্থায়ীভাবে স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে টুইটার। এই অ্যাকাউন্টটি স্থগিত হওয়ার পর ট্রাম্প তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে এক টুইটে বলেন, ‘যা আমি বহুদিন ধরেই বলে আসছি… মত প্রকাশের স্বাধীনতা না দেওয়ার ব্যাপারে টুইটার আরও অনেকদূর এগিয়েছে এবং আজ রাতে টুইটারের কর্মচারীরা ডেমোক্রেটস ও র্যাডিকাল বামদের সঙ্গে মিলে আমাকে এবং আপনাকে, ৭ কোটি ৫০ লাখ মহান দেশপ্রেমিক যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন, তাদেরকে চুপ করিয়ে দিতে তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে আমার অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দিয়েছে।’
প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘টুইটার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হতে পারে, তবে সরকারে ২৩০ অনুচ্ছেদের উপহার না থাকলে তারা বেশি দিন টিকে থাকতে পারবে না।’
তিনি আরও জানান, তার কথা যে সেন্সর করা হবে, এটি তিনি আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। রক্ষণশীলরা দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে যে, টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলি তাদের বিরুদ্ধে এবং উদারপন্থীদের পক্ষে পক্ষপাতদুষ্ট।
তিনি বলেন, ‘আমরা অন্যান্য বিভিন্ন সাইটের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং শীগগির একটি বড় ঘোষণা নিয়ে আসব। অদূর ভবিষ্যতে আমরা নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম তৈরির সম্ভাবনাগুলোও দেখব। আমরা নীরব থাকব না!’
সবশেষে তিনি টুইটারকে মুক্ত বাকস্বাধীনতার বিরুদ্ধে কাজ করার এবং তার (ট্রাম্পের) বিরুদ্ধে এমন র্যাডিকাল বাম প্ল্যাটফর্মের প্রচারণার জন্য অভিযুক্ত করেন।
নীতিমালার কথা উল্লেখ করে টুইটার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকেও টুইটগুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলে।
টুইটারের একটি বিকল্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হলো গ্যাব, যা কয়েক বছর আগে চালু হয়েছিল। এটি নিজেকে এমন সামাজিক নেটওয়ার্ক বলে দাবি করে যা চ্যাম্পিয়নদের বাক স্বাধীনতা, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও অনলাইনে তথ্য প্রবাহ চলতে দেয়।
গ্যাব প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও অ্যান্ড্রু তোরবা ট্রাম্পের সমর্থক। তিনি জানান, প্রেসিডেন্টের টুইটার বন্ধ হওয়ার পর থেকে সাইটটি রেকর্ডসংখ্যক ট্র্যাফিক পেয়েছে।