ডেস্ক নিউজ
ভোলায় শুক্রবার সকাল থেকে স্পিডবোট যোগে দুই দফা জলোচ্ছ্বাসে ঝুঁকিতে থাকা ১২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধ পরির্দশন করেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল অব. জাহিদ ফারুক। বাঁধ নির্মাণে কোন অনিয়ম হলে তা তুলে ধরতে সাংবাদিকদের অনুরোধ জানান তিনি।
তিনি জানান, বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে জলোবায়ুর প্রভাবে অনেক পরিবর্তন আসছে। তাই নতুন করে পরিকল্পনা নিতে হচ্ছে। নতুন সকল বাঁধের উচ্চতা ১৮ ফুট করা হবে। এ ব্যাপারে সমীক্ষা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সমীক্ষা অনুযায়ী কাজ শুরু করা হবে।
ইলিশা ঘাটে তাকে স্বাগত জানান ভোলা-২ আসনের সাংসদ আলি আজম মুকুল প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এরপর দৌলতখান উপজেলার চকিঘাটে পথ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় বক্তব্য রাখেন ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলি আজম মুকুল, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল আসলাম, পাউবো মহাপরিচালক এএম আমিনুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, উপজেলা পরিষধ চেয়ারম্যান মন্জুর আলম খান, পৌর মেয়র জাকির হোসেন তালুকদার, ভবানীপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম নবী নবু, হাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান হামিদুর রহমান টিপু, পাউবো তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল হান্নান, পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান, পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী (ডিভিশন-২) হাসান মাহমুদসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
সূত্র জানায়, ভোলায় ৩৫১ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে মাত্র ৩৩ কিলোমিটার বাঁধ সিসিব্লকের আওতায় এসেছে। এর মধ্যে কাজ সম্পন্ন হয়েছে মাত্র সাড়ে ২৮ কিলোমিটার। মেঘনা পাড়ের ১২৪ কিলোমিটার বাঁধ এখন ঝুকিপূর্ণ। নদীপথেই দৌলতখান উপজেলা থেকে বোরহানউদ্দীন উপজেলার হাকিমুদ্দিন ঘাট হয়ে চরফ্যাশন বেতুয়া ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পরিদর্শন করবেন।
দৌলতখানের সীমানায় মেঘনার কুলে প্লেকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানুষ মেঘনার ভাঙন কবলিত স্থানে জরুরিভিত্তিতে ব্লোক স্থাপনের দাবি জানান।