নাটোরের লালপুরে ডাল ফসল উৎপাদন ও সংরক্ষণ বিষয়ক কৃষানী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। লালপুর উপজেলার মনিহারপুর আদর্শ লাইব্রেরি ও কৃষি পরামর্শ কেন্দ্রের উদ্যোগে আজ শুক্রবার এম আর মোড়ে আজগর আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথীর বক্তব্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট জয়দেবপুর এর ডাল গবেষনা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কর্মসূচি পরিচালক ড. ওমর আলী বলেন, ডাল ফসল বাংলাদেশে আমিষের অন্যতম প্রধান উৎস। দরিদ্র মানুষের পুষ্টির অভাব পূরণে, গবাদি পশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায়, মাটির উর্বরা শক্তি ও জৈব পদার্থের পরিমান বৃদ্ধিতে ডাল জাতীয় ফসলের চাষাবাদ বাড়ানো একান্ত প্রয়োজন। শুধু তাই নই মসুর হতে আমিষ, শর্করা, আঁশ, খনিজ পদার্থ, ভিটামিন এ, বি, জিংক, আয়রন ও এন্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এর খড ও ভুষি গবাদি পশুর খাদ্য হিসাবে ব্যবহার হয়। আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি অনুসরন করে বারি মসুর-৮ জাতটি চাষ করলে পুষ্টি উপাদান সরবরাহের পাশাপাশি দেশে মসুরের চাহিদা মেটানো অনেকাংশে সম্ভব হবে।
উপস্থিত ছিলেন ঈশ্বরদী ডাল গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জামিল হোসেন, লালপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুর রশিদ মাষ্টার প্রমুখ। প্রশিক্ষণে ৪০ জন কৃষানী ডাল ফসল বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।