ডেস্ক নিউজ
দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে একদফা আন্দোলন শুরু করতে চায় বিএনপি। সেই লক্ষ্যে রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়তে চায় দলটি। তবে এই আন্দোলনে ২০ দলীয় জোট কিংবা ঐক্যফ্রন্টের সহযোগিতা না পাওয়ায় কিছুটা হতাশায় রয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড। সম্মিলিত আন্দোলন গড়ে তুলতে এরইমধ্যে দুই জোটের সাথে যোগাযোগ শুরু করেও কোনো সমর্থন না পাওয়ায় এই আন্দোলনের সফলতা নিয়েও শঙ্কায় রয়েছেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
বিএনপি ও জোটের একাধিক সিনিয়র নেতার সাথে কথা বলে দলের আন্দোলন, সম্ভাবনা ও শঙ্কার বিষয়ে জানা গেছে।
বেগম জিয়ার মুক্তি আদায়ে সম্মিলিত আন্দোলনের পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, ডিসেম্বর মাসে আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে চাই। সেই লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। বিএনপির পক্ষে এককভাবে রাজপথে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব নয়। যার কারণে আমরা ২০ দলীয় জোট ও ঐক্যফ্রন্টকে আমাদের এই একদফা আন্দোলনে যুক্ত করার চেষ্টা করছি। যদিও আমাদের এই আন্দোলন নিয়ে তাদের অনেক প্রশ্ন ও আপত্তি রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা দুই জোটের দ্বন্দ্ব দূর করে রাজপথে নেমে লাগাতার আন্দোলন করার চেষ্টা করছি। এরইমধ্যে দুই জোটের নেতাদের সহায়তা চেয়ে চিঠি দিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা আমাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। দুই জোটের নেতারা আমাদের এই দুঃসময়ে সাহায্য না করলে রাজপথে আমাদের আন্দোলন গড়ে তোলাটা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
এদিকে বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম দল বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, ফাঁকা বুলি দিয়ে বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে পারবে না বিএনপি। সত্যি বলতে- দলটির নেতারা বেগম জিয়ার মুক্তি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ নন। রাজপথে এককভাবে আন্দোলন করার সক্ষমতা দলটির নেই। যার কারণে সান্ত্বনা হিসেবে কঠোর আন্দোলনের কথা বলেন দলটির নেতারা। তাদের এই আন্দোলন কেবল বেগম জিয়ার মুক্তি কেন্দ্রিক। দেশবাসী কী ভাবছে, জোটের দলগুলোর ভাবনা কী, সেটি নিয়ে বিএনপি নেতাদের কোনো চিন্তা নেই। স্বার্থপর ও এককেন্দ্রিক চিন্তা-ভাবনা, রাজপথের আন্দোলনে বিএনপির দুই জোটের নেতা-কর্মীদের বিভক্তির কারণে জনগণকে তারা পাশে নাও পেতে পারে।