ডেস্ক নিউজ
নগরজুড়ে ডেঙ্গুর আতঙ্ক কমলেও থেকে নেই মশার উপদ্রব। কীটতত্ত্ববিদেরা বলছেন, এখন নগরে মূলত কিউলেক্স মশার উপদ্রব চলছে। স্ত্রী কিউলেক্স মশার মাধ্যমে অসুস্থ ব্যক্তির শরীর থেকে সুস্থ ব্যক্তির শরীরে ফাইলেরিয়া সংক্রমণ হতে পারে। এতে ‘গোদ’ নামে পরিচিত একটি রোগ হতে পারে। এই রোগের কারণে হাত-পা ফুলে যায়, বারবার জ্বর হয়।
এ বিষয়ে কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার জানান, দুর্যোগ এড়াতে মশকনিধন কার্যক্রমে ঢিলেমি দেওয়া যাবে না। কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে এখনই জোর দিতে হবে। মশকনিধন কার্যক্রমের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বলছেন, কিউলেক্স মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কিউলেক্স মশার উপদ্রব সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদ বলেন, কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ২৮ অক্টোবর থেকে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযানের অংশ হিসেবে প্রতিদিন পাঁচটি করে ওয়ার্ডে জরিপ করা হচ্ছে। জরিপকারী কর্মকর্তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কোন কোন এলাকায় কিউলেক্স মশার প্রকোপ বেশি, তা কীটতত্ত্ববিদের মাধ্যমে জরিপ করে চিহ্নিত করেছেন। যেসব এলাকায় কিউলেক্স মশা তুলনামূলক বেশি, সেই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সাধারণত শীতকালে কিউলেক্স মশার প্রকোপ বাড়ে। তাই পুরোপুরি শীত পড়ার আগেই যেকোনো মূল্যে কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাঁরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবেন।