নিউজ ডেস্ক:
জাতীয় নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়, উপজেলা নির্বাচন বর্জন, দলীয় কোন্দলের জেরে তৃণমূল থেকে হাইকমান্ডের বিভক্তিতে বেকায়দায় পড়ে আছে বিএনপি। কোন্দলের জেরে ছাত্রদলের কাউন্সিলে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আদালত। এত ঝড়-ঝঞ্ঝার পরও রাজধানীর উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। কিন্তু দুই সিটিতে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনে গলদঘর্ম অবস্থায় পড়েছে দলটির হাইকমান্ড।
বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র ও নেতার বরাতে এমন তথ্যের বিষয়ে জানা গেছে।
বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে জানা গেছে, আসন্ন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়ন পেতে ইতোমধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে বিএনপিতে। এক ডজনেরও বেশি প্রার্থী মনোনয়ন পেতে লন্ডনে যোগাযোগ করছেন বলেও জানা গেছে। উপজেলা নির্বাচন বর্জন করে তৃণমূলে প্রতিনিধিত্ব হারানো বিএনপি যথেষ্ট শিক্ষা পেয়েই রাজধানীর দুই সিটির নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। কিন্তু ঝামেলা বেঁধেছে যোগ্য ও উপযুক্ত প্রার্থী বাছাই নিয়ে।
জানা গেছে, ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে ধানের শীষে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেজর (অব.) কামরুল ইসলাম, বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন। এছাড়া বিএনপির শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাৎ হোসেন সেলিম ঢাকা উত্তর সিটিতে মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী।
অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী মির্জা আব্বাস ও আফরোজা আব্বাস দম্পতি। গত সিটি নির্বাচনের মতো মির্জা আব্বাসের মনোনয়ন বাতিল হলে তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সেই প্রত্যাশা নিয়ে এ দম্পতি সম্প্রতি লন্ডন ঘুরে এসেছেন বলে নেতাকর্মীদের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে। এছাড়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেল দক্ষিণ সিটিতে মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী। অবিভক্ত ঢাকার শেষ মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেনও ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।
তবে দলের একটি অভ্যন্তরীণ সূত্র বলছে, দুই সিটিতে যোগ্য প্রার্থী নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন খোদ দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একাধিক প্রার্থীর অনবরত তদবিরের কারণে বিরক্তিও প্রকাশ করেছেন বলেও গুঞ্জন উঠেছে দলে। যোগ্য, উপযুক্ত ও জনপ্রিয় প্রার্থীদের মনোনয়ন না দিলে অতীতের ন্যায় এবারের সিটি নির্বাচনেও দলের ভরাডুবির শঙ্কা করছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা।