ডেস্ক নিউজ
গত ১০ বছরে তাবিথ আউয়াল তারেক জিয়াকে অর্থায়ন ও দেশ বিরোধী চক্রান্তের জন্য বহুবার লন্ডনে গিয়েছে। তারেক জিয়ার পাশাপাশি খালেদা জিয়ার দেখাশুনা ও চিকিৎসার জন্যও লন্ডন গিয়েছে তাবিথ। কারণ তাবিথের যেহেতু রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নেই সেহেতু তারেকের ভরণপোষণ ও খালেদা জিয়ার দেখাশোনা ছাড়া তার মনোনয়ন পাওয়ার কোন সুযোগ নাই।
তাবিথের বাবা আব্দুল আউয়াল মিন্টু একজন বিদেশে অর্থ পাচারকারী ও আমেরিকান এজেন্ট। তাবিথের বাবা আব্দুল আওয়াল মিন্টুর মেয়র প্রার্থী না হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, তার এতো বেশি অবৈধ সম্পদ রয়েছে যে সে রীতিমতো মিডিয়ার সামনে আসতেই ভয় পায়। তাই তার জায়গায় অনভিজ্ঞ তাবিথ আউয়ালকে প্রার্থী করেছে তারেক জিয়া। আর এই অনভিজ্ঞ তাবিথকে দিয়েই ঢাকাকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা করবে তারেক জিয়া।
রানা প্লাজা ঘটনার পরবর্তী সংকট সময়ে সাহসী নেতৃত্ব দিয়েছেন ঢাকা উত্তরে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম তৈরী পোশাক খাতের তৎকালীন বিজিএমইএ’র সভাপতি হিসেবে। সেই সংকট নিরসনে রেখেছেন বলিষ্ঠ ভূমিকা। ৯ বছর বাংলাদেশ পোশাক খাত রক্ষায় সততার সাথে বিজিএমইএ’র সভাপতি হিসেবে কাজ করে গেছেন। এক বছরের মতন দক্ষ হাতে উত্তরের মেয়র হিসেবে রেখেছেন কাজের ছাপ। সততা ও নিষ্ঠার সাথে ২০০৮ থেকে ঢাকা ১০ আসনের সাংসদের দায়িত্ব পালন করেছেন আওয়ামী লীগের দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস। ক্লিন ইমেজের এই নেতার বিরুদ্ধে নেই কোনো অপরাধে মদদ বা দুর্নীতির অভিযোগ।
অন্যদিকে, ২০১৬ সালে পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে প্যারাডাইস পেপারস কেলেঙ্কারিতেও নাম এসেছে বিএনপির ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও তার পরিবারের। খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিথ আউয়ালের বিদেশে বিনিয়োগ করা সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার। ঢাকা দক্ষিণের বিএনপি মেয়র প্রার্থী ইশরাকের বিরুদ্ধে দূর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা একটি মামলা ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন। অর্থ্যাৎ বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থীই আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত দূর্নীতিবাজ।
তাবিথ আউয়াল ভালো করে বাংলা লিখতে-পড়তে পারেনা। সে তার শিক্ষাজীবন শেষ করেছে বারিধারার একটি অভিজাত ইংরেজী মাধ্যম স্কুলে পড়াশুনা শেষ করেছে যার মাসিক বেতন ছিলো ৪০ লাখ টাকা। যে ব্যক্তি বাংলা ভালোভাবে লিখতে পড়তে জানেনা সে কিভাবে সরকারী দাপ্তরিক কাজ পরিচালনা করবে আর কীভাবেই বা ঢাকা সিটি কর্পোরেশন পরিচালনা করবে?
তাবিথ ও ইশরাক এর রাজনীতি বা জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাদের ন্যুনতম অভিজ্ঞতা নেই। অভিজ্ঞতাহীন মানুষ কীভাবে ঢাকা দুই সিটি কর্পোরেশনের মতো এতো গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করবে? কার পরামর্শে চালাবে তাদের কাজ? তাদেরকে পরিচালনা করবে মূলত তারেক জিয়া যা আমাদের এই উন্নয়নশীল শহরের জন্য পুরোদমে হুমকি।
অন্যদিকে, আতিকুল ইসলাম ও শেখ ফজলে নূর তাপস দীর্ঘ দিন যাবৎ জন সম্পৃক্ততা সহ জনগণের সুখে-দুঃখে তাদের পাশে রয়েছে। সুতরাং তাদের পরিচালনার জন্য উনারা দুই জনেই যথেষ্ট। এই ঢাকা শহরে অনভিজ্ঞ লোক জনপ্রতিনিধি হলে মানুষের দূর্ভোগ কমবে না বাড়বেই বৈকি।