২০০৯ সালে তথ্য অধিকার আইন হওয়ার ১০ বছরেও তেমন অগ্রগতি হয়নি। নাটোরে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় টিআইবি’র সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) আয়োজিত দুই দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত তথ্য মেলার আলোচনা সভায় বক্তারা এমন মন্তব্য করেন। বক্তারা বলেন শুধুমাত্র আইন থাকলে চলবে না। সে আইন সম্পর্কে সকলকে জানতে হবে এবং কর্মক্ষেত্রে তার প্রয়োগ করতে হবে। শুধুমাত্র সচেতনতার অভাবে এ আইনটি কাঙ্খিত মাত্রা পেতে পারেনি। আর এই সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই প্রতি বছরের ন্যায় এবারও এই তথ্য মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
‘তথ্যের অধিকার, সুশাসনের হাতিয়ার, তথ্যই শক্তি, দুর্নীতি থোকে মুক্তি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে শোভাযাত্রা ও আলোচনার সভার মধ্যে দিয়ে নাটোরে (৯ ও ১০ ডিসেম্বর) দুই দিন ব্যাপী তথ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়। সনাক জেলা শাখার সভাপতি রনেন রায়ের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ, দুদক রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক মোরশেদ আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আশরাফুল ইসলাম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সুবিধ কুমার মৈত্র অলোক, টিআইবি’র রাজশাহী ক্লাস্টারের প্রোগ্রাম ম্যানেজার রাজেশ অধিকারী প্রমুখ। এর আগে কানাইখালী স্টেডিয়াম মাঠ থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সেখানে ফিরে যায়। দুইদিন ব্যাপী তথ্য মেলায় প্রথম দিনে গনশুনানীতে অংশ নেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোছাঃ শরিফুন্নেছা, সহকারী কমিশরার ভূমি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, প্রাণ এগ্রো লিমিটিডের জেনারেল ম্যানেজার ও যমুনা ডিষ্ট্রিলারিজের প্রতিনিধি। দ্বিতীয় দিনে গণশুনানীতে অংশ নেন নাটোর পৌর সভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি, বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক, পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক, সাব রেজিষ্টার, বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নেসকো’র নির্বাহী প্রকৌশলী। গণশুনানীতে অংশ গ্রহণকারীরা জনগনের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং তাদের প্রতিষ্ঠানে বিরাজমান সমস্যা দূর করার আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য মেলায় সরকারী ও বেসরকারী সেবাদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মোট ৪৫টি ষ্টল অংশ নেয়। মেলায় দূর্নীতি বিরোধী চিত্রাংকন ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। সমাপনী দিনে বিজয়ী প্রতিযোগিদের মাঝে পুরস্কার ও অংশগ্রহণকারী ষ্টলগুলোকে স্মারক ক্রেষ্ট প্রদান করেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আশরাফুল ইসলাম।