দুর্নীতি মামলার দণ্ড নিয়ে লন্ডনে পলাতক জীবন যাপন করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিদেশে বসে দল পরিচালনা করতে গিয়ে প্রায়শই নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছেন তিনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সমালোচনামূলক কর্মকাণ্ডে দেশের রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন মির্জা ফখরুলরা। কিন্তু পদ-পদবি হারানো এবং তারেক রহমানের পোষা ক্যাডারদের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার ভয়ে দলীয় অনিয়মের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন না বিএনপির নীতি-নির্ধারকরা।
যেসব কারণে তারেক রহমানের বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকাণ্ডে বিব্রত বিএনপির হাইকমান্ড..
-তারেক রহমান প্রকাশ্যে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী বক্তব্য দিয়ে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধকে জামায়াত এবং পাকিস্তানি কায়দায় ব্যাখ্যা করছেন। যার কারণে দেশে চরম বিতর্ক ও অসন্তোষের মুখে পড়ছেন বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
-দলের নীতির পথে হাঁটছেন না তারেক। নিজের ইচ্ছামতো দলের নিয়ম-নীতি তৈরি করছেন, পছন্দসই বিতর্কিত ও সুযোগ সন্ধানীদের মনোনয়ন দিচ্ছেন বিভিন্ন নির্বাচনে যার কারণে বিএনপির নীতি নির্ধারকরা তৃণমূলের সমালোচনার মুখে পড়ছেন।
-তারেক রহমান প্রকাশ্যে বাংলাদেশের মহান সংবিধানকে অত্যন্ত অবলীলায় উপেক্ষা এবং প্রত্যাখ্যান করছেন। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে বিভিন্ন সময় এমন মন্তব্য করেছেন, যার মোকাবিলা করতে গিয়ে বিএনপির রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছেন।
-তিনি বিভিন্ন সময় তার বক্তব্য এবং ভূমিকা দ্বারা দলের নীতি ও কার্যক্রমের সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থানে চলে গেছেন, যা দলকে বিব্রত ও বিভ্রান্ত করছে।
-অর্থপাচার থেকে শুরু করে দেশে বিভিন্ন সময় লুণ্ঠন ও নৈরাজ্য সৃষ্টি, রাজনীতির ক্ষেত্রে পরিপক্ব ও পরীক্ষিত নেতৃবৃন্দকে অসম্মান, একুশে আগস্ট বোমা হামলা ও দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গে সম্পৃক্ততা, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিসমূহের প্রতি অবিচল আনুগত্য, বাংলাদেশ-বিরোধী আন্তর্জাতিক পক্ষশক্তির কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের যে নীতি ও কর্মপদ্ধতি তারেক রহমান নিষ্ঠার সঙ্গে বহন করে চলেছেন– বিএনপির নীতি ও আদর্শের সঙ্গে এর অসঙ্গতি থাকা সত্ত্বেও কেউ প্রতিবাদী হতে পারছেন না। যার কারণে দেশে ও বিদেশে বিএনপির গ্রহণযোগ্যতা দিন দিন কমছে। সংকটের সম্মুখীন হতে হচ্ছে দলকে।