দেশে নতুন ১ হাজার ২৮২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত তিন মাসের মধ্যে বাংলাদেশে ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন মোট ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৪ জন। এ সময়ে করোনায় সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ৩৪ জন। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছেন ৪ হাজার ৭০২ জন। শনিবার বিকালে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২৪৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ২৭১ জন। সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯৪টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১০ হাজার ৯৮টি। আগের নমুনাসহ মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১০ হাজার ৭২৩টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৭ লাখ ১৫ হাজার ৪৮১টি।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার ১১ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭০ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃতের হার এক দশমিক ৪০ শতাংশ। সেখানে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৪ জনের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ ও নারী ১১ জন। এদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগে ১৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে সাতজন, রাজশাহী বিভাগে পাঁচজন, খুলনা বিভাগে চারজন, ময়মনসিংহ বিভাগে একজন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালেই মারা গেছেন ৩৩ জন, বাড়িতে একজন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১৯ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৩৮৮ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২৫৭ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৭৬ হাজার ৫৭১ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৫৮ হাজার ২৪৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৩২৬ জন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
দেশে শনাক্ত এবং মৃতের সংখ্যা বেশি ঢাকা বিভাগে। মোট মারা যাওয়া ৪ হাজার ৭০২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগেই মারা গেছেন ২ হাজার ২৭৫ জন; যা ৪৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৯৬ জন; যা ২১ দশমিক ১৮ শতাংশ। রাজশাহী বিভাগে ৩১৭ জন; যা ছয় দশমিক ৭৪ শতাংশ। খুলনা বিভাগে ৪০০ জন; যা আট দশমিক ৫১ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে ১৮০; যা তিন দশমিক ৮৩ শতাংশ। সিলেট বিভাগে ২১০ জন; যা চার দশমিক ৪৭ শতাংশ। রংপুর বিভাগে ২২৩ জন; যা চার দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১০১ জন: যা কি না সর্বনিম্ন, দুই দশমিক ১৫ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে বয়স বিবেচনায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ২১ জন; যা শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ। ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৪১ জন; যা শূন্য দশমিক ৮৭ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১০৯ জন; যা দুই দশমিক ৩২ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২৮১ জন; যা পাঁচ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৬১৫ জন; যা ১৩ দশমিক ০৮ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১ হাজার ২৮১ জন; যা ২৭ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ষাটোর্ধ্ব ২ হাজার ৩৫৪ জন; যা ৫০ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ।