তুরস্কের এজিয়ান উপকূলে সাত মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে। গ্রিসের সামোস দ্বীপেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। তুরস্কের ইজমির প্রদেশে অনেকগুলো বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে শুক্রবার ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে এ কম্পন অনুভূত হয়।তুরস্কের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধানের উদ্ধৃতি দিয়ে ছয়জনের মৃত্যুর খবরের পাশাপাশি আরও ২০২ জন আহত হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে গণমাধ্যমে।
যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভের (ইউএসজিএস) তথ্যানুযায়ী, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল তুরস্কের উপকূলীয় এই ইজমির প্রদেশ। তুরস্ক এবং গ্রিস উভয় দেশই ‘ফল্ট লাইন’র উপর অবস্থান করছে। যে কারণে ওই অঞ্চলে মাঝেমধ্যেই ভূমিকম্প হয়।
বিবিসি জানায়, শুক্রবারের এই ভূমিকম্পের ধাক্কায় গ্রিসের রাজধানী এথেন্স এবং তুরস্কের ইস্তাম্বুলও কেঁপে উঠেছে। ইজমির নগরীতে এখন পর্যন্ত অন্তত ছয়টি ভবন ধসে পড়ার খবর নিশ্চিত করেছেন কর্মকর্তারা। অন্যান্য প্রদেশেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ইজমিরের মেয়র টুনক সোয়ার জানিয়েছেন, প্রদেশে প্রায় ২০ টি বিল্ডিং ভেঙে পড়েছে। ইজমিরের গভর্নর বলেছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে ৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ভূমিকম্পের সময় ইজমিরের গুজেলবাহেস অঞ্চলে ছিলেন এমন একজন শিক্ষার্থী ইলকে সিড জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের পরে পানির উত্থানের কারণে তিনি অনেকটা মাটির ভেতরে চলে গিয়েছিলেন।
“আমি ভূমিকম্পের জন্য খুব অভ্যস্ত তাই আমি প্রথমে এটিকে খুব সিরিয়াসলি নেইনি তবে এবার সত্যিই ভীতিজনক ছিল। তিনি আরও বলেন, ভূমিকম্পটি কমপক্ষে ২৫-৩০সেকেন্ড স্থায়ী ছিল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে ধসের পড়া ভবনের ধ্বংস্তুপের নিচে হতাহতদের খোঁজে অনুসন্ধান চালাতে দেখা যাচ্ছে। ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে ৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইজমিরের গভর্নর।