ডেস্ক নিউজ
আসন্ন রোজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ভোজ্য তেল, চিনি ও ছোলার ওপর আরোপিত শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
গতকাল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে অনলাইন ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মূলত রমজান মাসে যেসব পণ্য বেশি প্রয়োজন, সেসব পণ্যের শুল্ক প্রত্যাহার হয়েছে। কারণ সবাই এগুলোর ভোক্তা। সয়াবিনের উৎপাদনপর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ভোক্তাপর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। তিনি বলেন, টিসিবি আমাদের সব সময় লাগে না, এসব প্রয়োজন সারা বছর লাগে না, মাঝে মাঝে দেখা যায়। তাই বলতে পারি, সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার, তা করা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা চিন্তাও করিনি যুদ্ধ লাগবে। এসব ক্ষেত্রে অনেক প্যারামিটার আছে, বেড়ে যায়। পরিবহন খরচ বেড়ে যায়। ফলে যে পরিমাণ বাড়ে তার চেয়েও বেশি বাড়ানো হয়। যারা এগুলো আমদানি করেন, তারা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেন। এবার যে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, টিসিবিকে আরও ক্ষমতায়ন করা। যারা সিন্ডিকেট করে তাদের সেই সুযোগ দেওয়া হবে না। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা টিসিবির জন্য জিনিসপত্র কিনতে যাচ্ছি। টিসিবি আমাদের অর্থনীতির ব্যাংকও। একদিকে আমাদের যেমন পণ্য দরকার, পণ্যের স্টক দরকার, তেমনি এই পণ্যগুলো যারা ব্যবহার করবে তাদের কাছে সময়মতো এবং ন্যায্য মূল্যে পৌঁছানো দরকার। আমরা সে কাজটি করছি। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা এক কোটি পরিবারকে টিসিবির আওতায় নিয়ে আসতে যাচ্ছি। সেখানে ভোজ্য তেল থেকে শুরু করে অন্যান্য যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস লাগবে সেসব জিনিস আমরা টিসিবির মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে তাদের কাছে পৌঁছিয়ে দেব। তিনি বলেন, মানুষজন কষ্ট পায় বিভিন্ন কারণে। আমাদের যেসব পণ্যের নিজস্ব উৎপাদন হয় সেটা যদি কম হয়, তখন আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়। তিনি বলেন, টিসিবির মাধ্যমে যদি আমরা সময়মতো ডেলিভারি করতে পারি এবং ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিতে পারি তাহলে আর এমন হবে না।