নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের নলডাঙ্গায় এবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ অধিদপ্তরের গ্রামীন সড়ক উন্নয়নে নিন্মমানের ইটের ব্যবহার করায় কাজ বন্ধ করে দিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান।বুধবার বেলা ১০ টার দিকে পিপরুল ইউনিয়নের কুমুদবাটির ইকবালের বাড়ি হতে বাক্কার মন্ডলের বাড়ি হয়ে আকবরের বাড়ির নদী অভিমুখ ৫৯ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ৩২৮০ মিটার এচইবিবি করণ গ্রামীন সড়কে নিন্মমানের ইটের ব্যবহার করার অভিযোগ পেয়ে পরিদর্শনে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ।
নলডাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়,২০২১-২০২২ অর্থ বছরের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ অধিদপ্তরের অর্থয়ানে গ্রামীন সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওয়াতায় দরপত্র আহবান করেন।উপজেলার কুমুদবাটির ইকবালের বাড়ি হতে বাক্কার মন্ডলের বাড়ি হয়ে আকবরের বাড়ির নদী অভিমুখ পযন্ত ৫৯ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ৩২৮০ মিটার এইচবিবি করণ গ্রামীন সড়ক উন্নয়নে কাজ পান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস হাসেন হোসেন এন্টারপ্রাইজ প্রতিষ্ঠানের আসলাম উদ্দিন।এ সড়কে সিডিউল অনুযায়ী কাজ না করে নিন্মমানের ২ ও ৩ নম্বর ইটের ব্যবহার করা হচ্ছে এমন অভিযোগ পেয়ে বুধবার বেলা ১০ টার দিকে সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে সত্যতা পেয়ে কাজ বন্ধ করে দেন উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ।এসময় পিপরুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কলিমউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
মের্সাস হাসেন হোসেন এন্টারপ্রাইজ প্রতিষ্ঠানের আসলাম উদ্দিন বলেন,সিডিউল মোতাবেক ১ নম্বর ইটের ব্যবহার করার কথা বলে আমি চুক্তিবদ্ধ।কিন্ত বাজারে বর্তমান ১ নম্বর ইটের দাম বেড়ে যাওয়ায় ১ নম্বর ইটের পরিবর্তে ২ নম্বর ইটের ব্যবহার করা হয়েছে।চেয়ারম্যান গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।আমরা ১ নম্বর ইট এনে কাজ শুরু করু করবো।
উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন,প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়িঘরে বসবাসকরা মানুষের চলাচলের সুধিবার জন্য এ সড়ক এইচবিবি করণের জন্য ১ কিলোমিটার সড়কে ৫৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সিডিউল মোতাবেক এক নম্বর ইটের পরিবর্ততে দুই ও তিন নম্বর ইট ও বালুর ব্যবহার হচ্ছে।এমন অভিযোগ পেয়ে পরিদর্শনে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়ায় কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।সিডিউল মোতাবেক এক নম্বর ইটের ব্যবহার ও বালু এবং সড়কের কাটিং গভীরতা না হলে কাজ করতে দেওয়া হবে না।আর ১ হাজার মিটার কাজ হওয়া সড়কের নিন্মমানের ইট তুলে ১ নম্বর ইট দিয়ে কাজ না করলে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা (অতিঃদাঃ) ওমর খৈয়াম সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন ধরেননি।