ডেস্ক নিউজ
সরকারি জমি ভোগ-দখলসহ নানা অনিয়মে জড়িয়ে বিএনপির অসংখ্য নেতা রাজনীতির মাঠে নানাভাবে সমালোচিত। সমালোচনার মুখেও তাদের দৌরাত্ম্য কমছেই না। এবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় পিরোজপুর ইউনিয়নের আষাঢ়ীয়ারচর এলাকায় এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সরকারি খাস জমি দখলের অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী।
শুধু সরকারি জমি নয়, তিনি এলাকার ত্রাস সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষের জমি দখলে নিয়েছেন বলেও জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আতঙ্কে আছে এলাকাবাসী।
এদিকে সোনারগাঁও থানায় দায়ের করা অভিযোগে এলাকাবাসী ওই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গণস্বাক্ষর দিয়েছেন।
সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, উপজেলার আষাঢ়ীয়ার চর গ্রামের কুদরত আলীর ছেলে বিএনপি নেতা আব্দুস সোহবান দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করে আসছে। এছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সরকারী ১২ বিঘা খাস জমি দখল করে বালু ভরাটের পায়তারা করছে। ১৯৯১ সাল থেকে শুরু করে বিএনপির প্রভাব খাটিয়ে মেঘনা ঘাট এলাকায় পরিবহন ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করে অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা, সিদ্ধিরগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি বাড়ির মালিক হয়েছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দখলকৃত সম্পত্তি দিয়ে মানুষের চলাচলে তিনি বাঁধা দেন। বিএনপি নেতা আব্দুস সোহবান সোনারগাঁ থানা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বিডিআর এর খালাতো ভাই পরিচয়ে এসব অপকর্ম করেছেন। তিনি শিল্প প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি, পরিবহন চাঁদাবাজি ও সরকারী খাস জমি দখল করে আছেন। তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। তার বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় বিভিন্ন অপরাধে ১০টি মামলা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে আব্দুস সোহবানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তারা মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে। তার বাড়িতে গিয়ে কথা বলতে চাইলেও তিনি দেখা করতে রাজি হননি।