ডেস্ক নিউজ
দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতায় বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে যুক্তরাজ্য। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলকে বিবেচনায় নিয়ে যুক্তরাজ্যের সমন্বিত পররাষ্ট্র, বাণিজ্য, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নীতিমালা পর্যালোচনার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) লন্ডনে অনুষ্ঠিত দুই দেশের চতুর্থ কৌশলগত সংলাপে বাংলাদেশের ভূমিকা নিয়ে এমন মন্তব্য করে যুক্তরাজ্য।
রোহিঙ্গা সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মহলকে যুক্ত রেখে উভয় পক্ষ চেষ্টা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে। আফগানিস্তানের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে দুই দেশ একে অপরের অবস্থান নিয়ে কথা বলেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দুই দেশ তাদের ঐতিহাসিক ও বহুমাত্রিক সম্পর্কের প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
আলোচনায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতা পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী ও ব্রেক্সিট–পরবর্তী পরিস্থিতি আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করার সুযোগ এনে দিয়েছে। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে গভীরতর কৌশলগত যুক্ততার লক্ষ্যে পররাষ্ট্র নীতিতে অগ্রাধিকারের প্রেক্ষাপটে বর্তমানে এ সুযোগ তৈরি হয়েছে।’
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী আন্ডার সেক্রেটারি ফিলিপ বার্টন ব্যাপকতর দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক আন্তর্জাতিক ইস্যুতে গণতান্ত্রিক দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতির উন্নতির পাশাপাশি গণটিকাদানের সংখ্যা বাড়ার কথা উল্লেখ করে মাসুদ বিন মোমেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাংলাদেশের নাগরিকদের যুক্তরাজ্য ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় দুই দেশের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশে কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের প্রয়াসে অর্থায়ন ও প্রযুক্তি সহায়তায় দুই পক্ষ রাজি হয়েছে। দুই দেশ সন্ত্রাসবাদ দমন, মানবাধিকার সুরক্ষা, বেসামরিক বিমান চলাচল এবং সামুদ্রিক ও অন্তর্জাল নিরাপত্তায় সহযোগিতার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।