ডেস্ক নিউজ
‘চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে যারা দগ্ধ হয়েছেন, তাদের চিকিৎসার পুরো ব্যয়ভার বহন করবে সরকার। যতদিন তাদের চিকিৎসার প্রয়োজন হবে, ততদিন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওষুধ ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হবে।’
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোমিনুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। মঙ্গলবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সামনে স্থাপিত সহায়তাকেন্দ্রে প্রেস ব্রিফিং করে এসব কথা বলেন তিনি।
জেলা প্রশাসক মোমিনুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, এ ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় যেন কোনো ধরনের অবহেলা না হয়। তাদের চিকিৎসার ব্যয় সরকার বহন করবে। আহতরা যতদিন চিকিৎসা নেবেন, তাদের ওষুধসহ সব ধরনের চিকিৎসা সহায়তা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় যারা আহত-নিহত হয়েছেন, সরকার তাদের পরিবারের পাশে রয়েছে। শ্রম মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে দুই লাখ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা এবং আহতদের ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। ডিপোর মালিকপক্ষ নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লাখ এবং আহতদের ছয় লাখ ও চার লাখ টাকা দেবে। নিহত ফায়ার ফাইটারদের পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে তারা।’
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় ডিপোর ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু করেছে বিশেষজ্ঞ টিম। তাদের সঙ্গে তদন্ত কমিটির সদস্যরাও রয়েছেন। আগুনের সূত্রপাত, কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি কেমন, তা খতিয়ে দেখবেন তারা।’
শনিবার (৪ জুন) রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুন লাগার পর কেমিক্যাল থাকা কনটেইনারে একের পর এক বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। প্রায় ৬১ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার (৭ জুন) বেলা ১১টার দিকে বিএম কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম হিমেল এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ডিপো থেকে বড় ধরনের কোনো বিপদ হওয়ার আশঙ্কা নেই।’ ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসন।