বগুড়ার লতিফপুর কলোনির স্থায়ী বাসিন্দা মো: তারেক। স্কুল জীবন থেকে ছাত্রশিবিরের রাজনীতিতে জড়িত তারেক কলেজ, উপজেলা সর্বশেষ জেলা ছাত্রশিবিরের দায়িত্বশীল পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেন। বিভিন্ন সময়ে শিবিরের মিছিল থেকে পুলিশের উপর হামলা, অগ্নিসংযোগ, সাধারন যাত্রীবাহী বাসে পেট্টোল বোমা নিক্ষেপ সহ একাধিক নাশকতার ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামী হিসাবে পুলিশের খাতায় নাম লেখান মো: তারেক। তারেকের বাবা জেলা জামায়াতে ইসলামির রোকন আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধেও রয়েছে নাশকতা ও সহিংসতার একাধিক মামলা।
জানা গেছে, সর্বশেষ শিবিরের কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় কোটা বিরোধি আন্দোলনে যোগ দিতে বগুড়া থেকে ঢাকাতে পাড়ি জমান শিবির নেতা মো: তারেক। বিশ্বস্থ সূত্রমতে, ঢাকা এসে প্রথমে ভিপি নুরুল হক নুরুর সার্বক্ষনিক দেহরক্ষী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন শিবির ক্যাডার তারেক। নুরের দেহরক্ষী থাকার সুবাধে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের পদে তাকে বসানো হয়। এরপর যুব অধিকার পরিষদের নামে একটি সংগঠন করে তাতে যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব দেয়া হয় শিবির ক্যাডার তারেককে। দায়িত্ব পেয়ে কিছুদিনের মধ্যেই বাকপটুতার কারনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত লাভ করে মো: তারেক। আর এ পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে ভিপি নুরের সংগঠনের নামে দেশ বিদেশের গণ-চাঁদার নিয়ন্ত্রক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন শিবির ক্যাডার তারেক। তার হাত ধরেই প্রবাসে কমিটি গঠনের নামে বিশাল অঙ্কের চাঁদা আদায়ের মিশনেও নামে ভিপি নুর ও তার সহযোগিরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক উদ্ধর্তন কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানান, বগুড়ার দূর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার ঢাকায় এসে সাধারন ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক পরিচয় দিয়ে নানা কার্যক্রম পরিচালিত করলেও আমাদের নজরে আছে। আমরা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তটি নিব।