নিজস্ব প্রতিবেদক:
অপহরন,মারপিট,আইসিইউ এ চিকিৎসা,৯৯৯ নম্বরে কল,মামলা, আওয়ামীগ নেতা কর্মিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশ,প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীকে ইসি সহ দলীয় শোকজ এই সকল নানা নাটক ও জল্পনা কল্পনার অবসান শেষে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দেলোয়ার হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ নির্বাচন অফিসের সম্মেলন কক্ষ্যে দেলোয়ার হোসেনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান ঘোষনা করেন। আর এতে পচা শামুকে পা কাটলো প্রতিমন্ত্রী পলক ও তার শ্যালক সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবিব রুবেলের।
এমন ঘটনায় সিংড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা কর্মিদের মধ্যে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়। অনেকেই বলছেন প্রতিমন্ত্রী পলক নিজের চেয়ার বাঁচাতে শ্যালকের চেয়ার কেড়ে নিলেন আবার অনেকে বলছেন আরো বড় কোন চেয়ারে বসানোর লোভ দেখিয়ে রাজনীতির কষাঘাতে পঙ্গু করে দিলেন শ্যালক রুবেলকে। আবার কেউ বলছেন দুলাভাই ও শ্যালকের পারিবারিক কোন্দলের প্রতিশোধ নিতেই প্রতিমন্ত্রী নিজেই দলীয় নেতাদের ব্যাবহার করে শ্যালক রুবেলকে সড়িয়ে দিলেন রাজনীতি থেকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার একাধিক নেতা কর্মি বলেন, প্রতিমন্ত্রীর ওপর কথা বলার সাহস সিংড়াতে কারো নাই। তার বিরুদ্ধে যে যাবে তাকে যেকোন ফাঁদে ফেলে সড়ে যেতে বাধ্য করবেন। আজ রুবেলের মত জনপ্রিয় এক নেতা ও জনপ্রতিনিধির সাথে এমন না করলেও পারতেন তিনি। এই রুবেল শেরকোল ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ার পর তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেকারনে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দেন। নির্বাচনে জয়লাভের বিষয়ে তিনি ১০০ ভাগ নিশ্চিত ছিলেন। ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন ৫০ টা ভোটও পেতো না। তার জামানত বাজেয়াপ্ত হত। এই বিশ্বাস সিংড়ার মানুষের মনে। কিন্তু কপাল খারাপ পচা শামুকে পা কাটলো রুবেলের। শুধু রুবেলের একার নয় প্রতিমন্ত্রী পলকের পা কাটলো বলে মনে করেন অনেক নেতা। যার প্রভাব পড়বে উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। কি এমন ঘটনা হল যে প্রতিমন্ত্রী এই দেলোয়ার হোসেনকে নির্বাচনে জয়ী করতে নিজের শ্যালককে নির্বাচন থেকে সড়ে যাওয়ার কথা বলরেন। শুধু তিনিই নয় দলীয় নেতাদের দিয়ে নির্বাচন থেকে সড়ে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করলেন। কি আছে এই দেলোয়ার হোসেনের মধ্যে। আর এই দেলোয়ারকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী পলক দেলোয়ার হোসেনকে আওয়ামী লীগের এক নিবেদিত প্রাণ বলে উল্লেখ করলেন। কিন্তু দেলোয়ার হোসেন কবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেন করলেন আর কবেই বা তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য হলেন তা উপজেলার কোন আওয়ামী লীগের নেতা জানলেন না। আসল কথা রাজা চাইলে প্রজা বাধ্য।