ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির সঙ্গে বিবাহ-বিচ্ছেদের আবেদন আগেই করেছেন। এবার নওয়াজের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করলেন স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকি। জানা যাচ্ছে, নওয়াজের বিরুদ্ধে মুম্বাইয়ের ভারসোভা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তার স্ত্রী।
আলিয়া সিদ্দিকির আইনজীবী জানান, ‘আমার মক্কেল ভারসোভা থানায় ধর্ষণ, প্রতারণা এবং প্রতারণা করে বৈধ বিয়ে ও প্ররোচিত করে সহবাসের অভিযোগ এনেছেন। আশা করছি খুব শিগগিরই এফআইআর রেজিস্টার করা হবে।’
যদিও আলিয়া সিদ্দিকির এই লিখিত অভিযোগের বিষয়ে অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি কোনো মন্তব্য করেননি।
এর আগে, নওয়াজের ভাই শামসউদ্দিনের বিরুদ্ধেও শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছিলেন আলিয়া। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন নওয়াজের ভাই শামস। তার পাল্টা অভিযোগ ছিল, শুধু অর্থনৈতিকভাবে ফায়দা তোলার জন্য আলিয়া এটা করছেন।
আলিয়ার দাবি ছিল, ‘ম্যাজিক ইফ ফিল্মস এলএলপি নামে যে সংস্থা রয়েছে, তাতে নওয়াজ, শামস ছাড়াও আমি ২৫ শতাংশ অংশীদার। আমি যদি আমার কোম্পানি থেকে কোনো টাকা নেই, তাহলে সেটা কীভাবে শামসের টাকা হয়ে যেতে পারে? শামস তো নিজেই নওয়াজের টাকায় চলে। আমি আমার স্বামীর কাছ থেকে টাকা চেয়েছি। উনি ওনার ম্যানেজারের মাধ্যম টাকা পাঠিয়েছেন। তারপর কীভাবে দাবি করতে পারেন, যে ওটা ওনার টাকা? আমি তো নওয়াজের স্ত্রী তাহলে কেন টাকা চাইতে হবে?’ যদিও এই মামলায় অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন এখনো পর্যন্ত প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি।
সম্প্রতি নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির থেকে বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়ে ৩০ কোটি টাকা দাবি করেছেন তার স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকি। বিপুল অঙ্কের অর্থের পাশাপাশি মুম্বাইয়ের ইয়ারি রোডে ৪ বিএইচকে-র একটি ফ্ল্যাটও দাবি করেছেন আলিয়া।
বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় অভিনেতার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছেন তার স্ত্রী। তার অভিযোগ ছিল, তিনি যখন নওয়াজের সঙ্গে বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন, তখন অভিনেতা আরও একজনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। পাশাপাশি, নওয়াজ তার গায়ে হাত না তুললেও, যে ধরনের চিৎকার চেঁচামেচি করে অশান্তি করতেন, তা অসহ্য হয়ে যায়।
অভিনেতার মা, দাদার বিরুদ্ধেও হিংসার অভিযোগ করেন আলিয়া। নওয়াজের দাদা শামাস আলিয়ার গায়ে হাতও তোলেন বলে অভিযোগ করা হয়। এসব ছাড়াও আলিয়ার কথায় নওয়াজের কোনো বান্ধবী এলে, আলিয়া বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেন। তার সামনে দিয়েও নওয়াজের বান্ধবীরা তার ঘর ঢুকতেন।