নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার কোঁচকড়ি গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধপূর্ণ জমিতে বিবাদী আজিজ,আবুল ও মাহবুবুরে বিরুদ্ধে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।বাধা দিতে গেলে হত্যার হুমকিসহ বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এ ঘটনায় বুধবার প্রতিকার চেয়ে নলডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগি মৃত সোলেয়মানের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার খাজুরা ইউনিয়নের কোঁচকড়ি গ্রামের বাদী মৃত মোহাম্মাদ আলীর তিন ছেলে মোজ্জাম্মেল,মোবারক,ওহিদুর রহমান এবং মৃত সোলেয়মান আলীর তিন ছেলে ফজলু,ফারুক ও ফিরোজের সাথে চাঁদপুর মৌজার ১৮১ নং খতিয়ানের আরএস ১৪০১ দাগের ১২ শতক জমি নিয়ে বিবাদী আহমদ আলীর তিন ছেলে আজিজ,আবুল হোসেন ও মাহবুবের জমি ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ চলছিল।এ নিয়ে ২০১২ সালে দায়ের করা নাটোর বিজ্ঞ আদালতে বাটোয়ারা মামলা চলমান আছে।এ প্রেক্ষিতে বিবাদীরা বিরোধপূর্ণ ১২ শতক জমিতে প্রভাব খাটিয়ে জোর করে ইটের দালান বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে চলতি বছরের ২ এপ্রিল আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করে নোর্টিশ প্রদান করেন।আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিবাদীরা সেই জমিতে বাড়ি নির্মাণকাজ শুরু করেছে।বাধা দিতে গেলে বাদীদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় ২৮ আগষ্ট বুধবার মৃত সোলেয়মান আলীর স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম তার পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে নলডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। বাদী পক্ষের ওয়ারিশ ওহিদুর রহমান বলেন,আমাদের পৈতিক সূত্রে পাওয়া এই জমি নিয়ে বিবাদীদের সাথে আমাদের আদালতে বাটোয়ারা মামলা চলছে।মামলাটি নিষ্পতি না হতে সরকার পতনের পর আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিবাদীরা জোর করে সেই ১২ শতক জমিতে জবর দখল করে বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেছে।বাধা দিতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।এতে আমরা পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতা ভুগছি।বিবাদী পক্ষের আবুল হোসেন বলেন,আদালত কর্তৃক যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেই অংশ বাদ দিয়ে আমরা বাড়ি নির্মাণ কাজ করছি।আমরা বাদী পক্ষের কাউকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করেন।নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোনোয়ারুজ্জামান বলেন,আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাড়ি নির্মাণ ও ভয়ভীতি দেখানোর বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।এর আগে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করায় বিবাদীদের গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছিল।