নাটোরের নলডাঙ্গায় অগ্নিকান্ডে একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসার ৫ টি টিনের ঘর পুড়ে ভস্মিভুত হয়েছে। এতে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সারা বছরের জন্য সংরক্ষন করা ধান চালসহ আসবারপত্র পুড়ে ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেছে মাদ্রাসা কৃর্তপক্ষ।বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার বাঙ্গাল খলসী মদিনাতুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। তবে কিভাবে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে তা সঠিকভাবে জানাতে না পারলেও বৈদ্যতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত বলে ধারনা করছে মাদ্রাসা কৃর্তপক্ষ। ঈদের ছুটিতে মাদ্রসা বন্ধ থাকায় কেউ হতাহত হয়নি।
এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়,বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে নলডাঙ্গা উপজেলার বাঙ্গাল খলসী মদিনাতুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় হঠাৎ আগুন লেগে চারদিক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি এলাকাবাসী দেখতে পেয়ে প্রায় ঘন্টাব্যাপি চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রন করে। তবে এরই মধ্যে আগুনে মাদ্রাসার ৫টি ঘরের টিন, ঘরের আসবারপত্র,শিক্ষার্থীদের সারা বছরের সংরক্ষন করা ধান চাল পেঁয়াজ, বই পত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে অগ্নিাকান্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ,ব্রহ্মপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বাবু।হাফেজিয়া মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম জানান,বৈদ্যর্তিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে ৫টি টিনের ঘরের সব আসবারপত্র বইপত্র ও শিক্ষার্থীদের জন্য সারা বছরের সংরক্ষণ করা ধান চাল ও পেঁয়াজ পুড়ে যায়। এতে ৫ লক্ষ টাকার বা তার বেশি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তিনি অগ্নিকান্ডের ঘটনা জানার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত মাদ্রাসায় সরকারী সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।