নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের নলডাঙ্গায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে টানা ৫ দিন অনশনের পর অবশেষে বিয়ে পড়ালেন ছেলের পরিবারের সদস্যরা।
আজ সোমবার বিকালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কলিম উদ্দিন ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ৬ লাখ ১ টাকা দেনমোহরে প্রেমিক সাইফুল ইসলামের বাড়ীতে সম্পন্ন হয় সাইফুল-পপির বিয়ে।
নলডাঙ্গা উপজেলার পিপরুল ইউনিয়নের ঠাকুর লক্ষিকোল গ্রামের কলেজ ছাত্রী পপি খাতুনের সাথে প্রতিবেশী সিদ্দিক মোল্লার ছেলে সাইফুলের ২ বছর ধরে প্রেম চলে আসছিল। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সাইফুল পপিকে নিয়ে গাজীপুর জেলার কামরাঙ্গার চালা এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে কিছুদিন বসবাসের পর পপি বিয়ের জন্য চাপ দিলে সেখানে পপিকে রেখে পালিয়ে যায় সাইফুল। এ অবস্থায় পপি গ্রামে ফিরে এসে বিয়ের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে সাইফুলের বাড়িতে অনশন শুরু করে পপি। পর পর ৪ দিন পপিকে তাদের ছেলের সাথে বিয়ে দিতে নারাজ হলে পপিও বিয়ের দাবীতে অনশন শুরু করে।
এরপর বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রাম প্রধানদের মধ্যস্থতায় দুই পক্ষের সম্মতিতে সাইফুল ও পপির বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পরে গ্রামবাসীকে মিষ্টি খাওয়ায় উভয় পরিবারের সদস্যরা। প্রেমিক সাইফুল ইসলাম উপজেলার পিপরুল ইউনিয়নের ঠাকুর লক্ষ্মীকোল মদনহাট পাবনা পাড়া গ্রামের সিদ্দিক মোল্লার ছেলে এবং পপি খাতুন একই উপজেলার সোনারমোড় এলাকার মৃত আব্দুস সোবাহানের মেয়ে। এমন বিয়ের ঘটনাটি এখন এলাকায় মানুষের মুখোরোচক কাহিনীতে রুপ নিয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কলিম উদ্দিন জানান, তারা ঘটনাটি জানতে পেরে উভয় পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে সাইফুল ও পপির প্রেম ভালবাসার বিষয়টি নিশ্চিত হন। পরে সকলের সাথে আলোচনা করে এই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এটা সঠিক বিচার হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। এরফলে আর কোন ছেলে কোন মেয়ের সাথে এমন প্রতারনা করার সাহস পাবেনা বলে মনে করেন তিনি। এমন ভাবে বিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বিয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেন।