মাদক ব্যবসা বাধা দেওয়ায় নাটোরের নলডাঙ্গায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত মুক্তা নামের এক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী গুরুতর আহত মুক্তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার চেউখালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।আহত মুক্তা (৪০) উপজেলার চেউখালি গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে।
নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,মঙ্গলবার সকালে উপজেলার চেউখালি গ্রামের বট তলায় মাদক ব্যবসায়ী মুক্তাকে মাদক বিক্রয় করা নিয়ে প্রতিবাদ করেন স্থানীয় ওর্যাড আওয়ামীলীগের নেতা সাঈদ ও তার ভাইরা।এ সময় দুই পক্ষের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে বেধে যায়। এতে মাদক ব্যবসায়ী মুক্তাসহ তার বাবা মুজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী আহত হয়। অপর দিকে আওয়ামীলীগ নেতা সাঈদসহ তার পরিবারের আরোও দুই জন আহত হয়।স্থানীয়রা গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।এর দুই দিন আগে মাদক বিক্রয় নিষেধ করায় মাধনগর কাজিপাড়ার গ্রামের ওর্য়াড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাঈদ হোসেনের ছোট ভাই শাজাহান আলী কে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় মুক্তার আরেক সহযোগি মাদক বিক্রেতা সেলিম। এনিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।এর জের ধরে এ সংঘর্ষ হয় বলে ধারনা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান,সকালে লাঠিসোটা নিয়ে চেউখালি গ্রামে মারামারি হয়েছে।তবে মুক্তা নামের একজন গুরুতর আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
গুরুরুত আহত মুক্তা, মাথায় গভীর ক্ষত- নাটোর থেকে রাজশাহী পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও মুক্তার বৌ, মুক্তার বাপ মজিবর আহত হয়েছে।সকাল সারে ছয়টার সময় লাউ ক্ষেতে লাউ তুলতে গেলে প্রতিপক্ষ ছবেদ, কুদ্দুস, সাইদ, ফরিদ, সোহাগ, শামিম,হাসেন। সকলের বাড়ি পশ্চিম মাধনগর কাজীপাড়া। আহতদের পরিবারের দাবী মাদক বিক্রীর চাঁদা না পাওয়ায় তারা এভাবে লাঠিও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে।