নাটোরের নলডাঙ্গায় স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারন করার অভিযোগে মুল অভিযুক্ত মিঠন আলী সহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার মোমিনপুর গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়। ভুক্তভোগি স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে পরিক্ষার জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগি স্কুল ছাত্রী বাদী হয়ে মিঠুনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছে। স্কুল ছাত্রী স্থানীয় সমসখলসি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ও ভুক্তভোগির পরিবারের সদস্যরা জানান, স্কুল ছাত্রী তার বাড়ীর অদুরে প্রতিদিনের মত সোমবার বিকেলেও ছাগল চড়াতে যায়। এ সময় একই এলাকার সোলেমান আলীর ছেলে মিঠুন আলী তাকে একা পেয়ে জোড়পুর্বক ধর্ষণ এবং তা মোবাইল ফোনে ধারন করে। পরে মিঠুন সেই ভিডিও চিত্র তার বন্ধুদের দেয় এবং ওই ছাত্রীকে ধর্ষন করতে উদ্বুদ্ধ করে। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে মিঠুন সহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় মিঠুনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগি এই ছাত্রী। মামলা হওয়ায় মিঠুনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিঠুনের তিন বন্ধুকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।