সারা দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতি দিন বেড়েই চলেছে। এর প্রেক্ষিতে নাটোর জেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রামন রোধে শুক্রবার সকাল থেকে কঠোর অবস্থান নিয়েছে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন। অন্যান্য জেলা থেকে বিভিন্ন যানবাহন ও মানুষের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলার সব কটি প্রবেশপথে পুলিশের তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে।
জরুরি ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়া কোনো যানবাহন জেলায় প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।একই সঙ্গে সাধারণ মানুষের চলাফেরায় আরও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। কাঁচা বাজারগুলোতে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য চালু রাখা এবং নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নাটোরে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ বলেন, ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ সহ দেশের কয়েকটি জেলায় করোনা ভাইরাসের বিস্তার বেশি ঘটেছে। ফলে ওই সব এলাকা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে কর্মরত লোকজন বিভিন্ন উপায়ে নিজ নিজ জেলায় ফিরছেন এবং ফেরার চেষ্টা করছেন। সেসব এলাকা থেকে কেউ নাটোরে ফিরলে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য জিবনের ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে। নাটোর জেলাকে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি মুক্ত রাখতে জেলার সঙ্গে অন্যান্য জেলার সব প্রবেশ পথ এবং আন্তঃউপজেলার সড়ক পথে চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করা হচ্ছে। সেই হিসেবে রোগীবাহী গাড়ি, ওষুধ, পণ্যবাহী গাড়ি, কৃষিপণ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যবাহী গাড়ির মতো জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহনের ব্যাতিত অন্যসব ধরনের যানবাহন ও অযথা মানুষের বাড়ীর বাহিরে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বিভিন্ন জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। কারণে বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে থাকা নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকে মানুষ নিজ জেলায় ফিরতে শুরু করেছেন। নাটোর জেলা এখনো ভালো অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু বাইরে থেকে মানুষ এই এলাকায় প্রবেশ করে বসবাস শুরু করলে রিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। আর তা মোকাবিলা করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন,নাটোর জেলার বিভিন্ন প্রবেশ পথে পুলিশ তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের টহল টিম জোরদার করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করতে নাটোরের আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা সবসময় প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন হাট বাজারে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে পুলিশ কাজ করছে।