নিজস্ব প্রতিবেদক
নাটোরের বড়াইগ্রামে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৮ ডাকাত গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দীতে গ্রেফতারকৃতরা ছিনতাই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো সিরাজগঞ্জ জেলার চরমালসাপাড়া কাটা ওয়াবদা এলাকার মৃত জেল হোসেনের ছেলে মোঃ ইউসুফ, পারমনোহারা এলাকার মজিদ সরকারের ছেলে আরিফুল হোসেন, পাতিয়াবেড়ার মানিক চন্দ্র সরকারের ছেলে শুভ কুমার সরকার, মরিচা এলাকার মৃত সামাদ আলীর ছেলে শফিকুল আসলাম কালিয়া, উল্লাপাড়া পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত নান্নু মিয়ার আরিফ হোসেন, বাকুয়া গ্রামের বাবলু মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন বাবু, ভদ্রকোল পূর্বপাড়া গ্রামের হান্নান শেখের ছেলে হারুন-অর- রশিদ ও নতুন চাঁদপর এলাকার মৃত রমজান আলীর ছেলে ইউসুফ কাজী। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা ও বড়াইগ্রাম সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার হারুন-অর রশিদ জানান, গত ১১ সেপ্টেম্বর উপজেলার গড়মাটি মোল্লাপাড়া) গ্রামের মৃত কোরবান আলী মোল্লার ছেলে আলহাজ্ব আহম্মদ আলী সোনালী ব্যাংক বনপাড়া শাখা থেকে ৬ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। পরে সিএনজি যোগে তিনি তার নিজ বাড়ি যাওয়ার পথে মুচিপাড়া ব্রিজের কাছে পৌঁছালে একটি কালো রংয়ের হিয়াক মাইক্রোবাস সিএনজির গতি রোধ করে। সিএনজি থামা মাত্র অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি আহম্মদ আলীকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সিএনজি থেকে নামতে বাধ্য করে। পরে তারা আহম্মদ আলীর হাতে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে তাকে কিল ঘুষ মারতে মারতে জোরপূর্বক মাইক্রোবাস তুল নেয়। এর পরে তারা মাইক্রোবাসের ভিতরে আহম্মদ আলীর আন্ডারওয়ারের পকেটে থাকা ৬ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে রাস্তার মধ্যে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।
এ ঘটনায় আহম্মদ আলী বড়াইগ্রাম থানায় ১৩ সেপ্টেম্বর ্কটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্তে নামে। তদন্তের এক পর্যাযে সিরাজগঞ্জ মুক্তির সোপান এলাকা থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস ও তার চালক মোঃ ইউসুফকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য মতে সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘটনার সাথে জড়িত আরো ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে গ্রেফতারকৃতরা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা আরো জানায়, তারা ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সিরাজগঞ্জ, নাটোর ও পাবনাসহ বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি ও ছিনতাই করে থাকে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোর পুলিশ লাইনস্ অডিটোরিয়ামে এক প্রেস ব্রিফিংকালে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা ও বড়াইগ্রাম সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার হারুন-অর রশিদ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকরাম হোসেন, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত, ডিবি’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈকত হাসান সহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।