নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের বড়াইগ্রামে শাবনুর খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের কুশমাইল সংগ্রামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ শনিবার সকালে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত শাবনুর সংগ্রামপুর গ্রামের চাঁন মিয়ার স্ত্রী ও পারকোল গ্রামের আলম শেখের মেয়ে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী চাঁন মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
আলম শেখ বলেন, সাত বছর আগে সংগ্রামপুর গ্রামের নবাব আলী ছেলে চাঁন মিয়ার সাথে তার মেয়ের বিয়ে দেন। বিয়ের সময় দেড় লাখ টাকা যৌতুক দেওয়া হয়। কিন্তু তারা আরও টাকা দাবী করে তার মেয়েকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার স্থাণীয় ভাবে শালিস মিমাংসা করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, শুক্রবার নিজ শয়ন ঘরে আড়ার সাথে গলায় ওড়না প্যাচানো ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। মরদেহের পা মাটির উপরে দাঁড়ানো অবস্থায় ছিল। তার দৃঢ় বিশ্বাস মেয়েকে হত্যা করে মরদেহটি ঝুলিয়ে রেখেছে তারা।
চাঁন মিয়া বলেন, তিনি ঢাকাতে একটি কারখানায় কাজ করেন। বুধবার বাড়ি এসেছেন। তার শশুর বাড়ি যাওয়ার জন্য শাবনুর তাকে বলে। কিন্তি তিনি দুইদিন পরে যেতে চেয়েছিল। এই অভিমানে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থনার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সিদ্দিক বলেন, এই বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী চাঁন মিয়াকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তন্তের রিপোর্ট পেলে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।