নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের লালপুরে গৃহবধুকে ধর্ষণ চেষ্টা ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে ৫ জনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ডেরর আদেশ দিয়েছে আদালতের বিচারক। এ সময় একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ( জেলা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়,২০১০ সালের ১৫ জুলাই বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে স্থানীয় আনার আলী নামে এক ব্যক্তি প্রতিবেশী কাবিল হোসেনের স্ত্রীকে বাড়ী থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় পাশের আখের জমিতে। সেখানে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে আনার আলী পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানানো হলে এলাকায় শালিস বসে। শালিসে আনার আলী দোষী সাব্যস্ত হয়। এতে আনার আলী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরে গত ২০ সেপ্টেম্বর পুনরায় আনার আলী তার সহযোগীদের নিয়ে গৃহবধুকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় গৃহবধুর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। এরপর গৃহবধু বাড়ীতে গিয়ে বিষপান করে। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গৃহবধুর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর দিন গৃহবধুর স্বামী কাবিল হোসেন বাদী হয়ে আনার আলী সহ ৬ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর মামলার স্বাক্ষ্য প্রমান গ্রহন শেষে আদালতের বিচারক ৫ জনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন এবং একজনকে খালাস আদেশ দেন।
রায়ে উল্লেখ করা হয় জরিমানার অর্থ ভিকটিমের পরিবার পাবে। দন্ডপ্রাপ্তরা হল লালপুরের ভবানীপুর গ্রামের আনার আলী,আমিরুল ইসলাম, সাজদার রহমান, আনছার আলী ও সাবান আলী। মামলার রায় ঘোষনার সময় দন্ডপ্রাপ্ত সাজদার রহমান পলাতক রয়েছে।