বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে নাটোরের সিংড়া পৌরসভায় অগ্নিকান্ডে গ্যারেজে থাকা ২টি এ্যাম্বুলেন্স,মেয়রের প্রাইভেট কার ও ১১টি অটো রিক্সা পুড়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার ভোরে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে সিংড়া ফায়ার স্টেশনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে অগ্নিকান্ডে মেয়রের প্র্ইাভেট কার ও অটো রিক্সাগুলো একেবারে পুড়ে গেলেও বড় ক্ষতি হয়নি এ্যাম্বুলেন্স দুইটির। সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, প্রতিদিনের মত গতকালও চলো প্রকল্পেরে অটো রিক্সাগুলো সহ একটি প্রাইভেট কার ও দুইটি এ্যাম্বুলেন্স পৌরসভার নিজস্ব গ্যারেজে রাখা হয়। ভোরে নৈশ প্রহরির চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে আগুন গ্যারেজে আগুন জ্বলতে দেখে। পরে তারা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের খবর দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে গ্যারেজে থাকা প্রাইভেটকার ও অটো রিক্সাগুলো সম্পুন্ন পুড়ে গেলেও বেশি ক্ষতি হয়নি এ্যাম্বুলেন্স দুইটির।
সিংড়া পৌর সভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ভোর রাতে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরে তিনি পৌর কার্যালয়ে চলে আসেন। এরপর সকলের সাথে তিনিও আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। কিন্তু ততক্ষনে পৌরবাসীর সুবিধার্থে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া চলো প্রকল্পের ১১ টি অটো রিক্সা সহ তার একটি গাড়ী পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। অল্পের জন্য বেঁচে গেছে দুইটি এ্যাম্বুলেন্স। এ্যাম্বুলেন্স দুইটির খুব বেশী ক্ষতি হয়নি। তবে কত টাকার ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
স্থানীয় এক সিএনজি চালক তরিকুল ইসলাম বলেন, তিনি নাইট প্যাডলার। রাতে সিএনজি নিয়ে বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এমন সময় প্রচন্ড শব্দ শুরু হয়। তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন হরতাল অবরোধের কারনে গোলাগুলি শুরু হয়েছে। পরে তিনি আগুন দেখতে পান। এরপর তিনিও চিৎকার শুরু করে দিলে জনগন জড়ো হয়ে আগুন নেভাতে আসে।
সিংড়া ফায়ার স্টেশনের সদস্যরা বলেন তারা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুনের তীব্রতা দেখে প্রথমে বেবেছিলেন তাদের মেশিন দিয়ে এই আগুন নিয়ন্ত্রন করা খুবই কষ্টকর। তাই তারা নাটোর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে সংবাদ দেয় দুইটি মেশিন নিয়ে যাওয়ার জন্য। পরে নাটোর থেকে দুইটি মেশিন নিয়ে সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই তারা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।