নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরে কলেজ ছাত্রী অপহরণ মামলার প্রধান আসামী আতিক হাসানকে ডাবল যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৪০ হাজার টাকা জরিমানা সহ আরো তিন সহযোগিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হল গুরুদাসপুর উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে আতিক হাসান (২২),একই এলাকার আশরাফ হোসেনের দুই ছেলে সুমন আলী (২৩) ও টিপু সুলতান (৩৩) এবং আব্দুস সাত্তারের ছেলে আবু জাফর (২৫)।
নাটোর জজ আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান জানান, ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী কলেজে ও প্রাইভেট পড়তে যাওয়া আসার পথে প্রেমের প্রস্তাব সহ কুপ্রস্তাব দিতে থাকে স্থানীয় বখাটে যুবক আতিক হাসান ও তার সহযোগিরা। কিন্তু ওই ছাত্রী তার প্রস্তাব প্রত্যাখন করে ঘটনাটি তার বাড়ীতে জানায়। এরপর ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে আতিক হাসান ও তার সহযোগিদের অভিভাবকদের জানানো হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই কলেজ ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয় তারা। এরপর ২০১৪ সালের ১০ আগষ্ট সকালে নিজ বাড়ী থেকে পায়ে হেটে উত্তরনারী বাড়ী এলাকায় প্রাইভেট পড়তে যায় ছাত্রী। এ সময় পথে দাঁড়িয়ে থাকা আতিক হাসান, সুমন আলী, টিপু সুলতান ও আবু জাফর ছাত্রীটিকে জোর করে অপহরন করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে অপহৃত ছাত্রীর চাচা আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আতিক হাসান সহ চারজনের নামে গুরুদাসপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের ১০দিন পরে ২০ আগস্ট ওই ছাত্রীকে নাটোর আদালত চত্তরে রেখে গেলে পুলিশ অপহৃত কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। পরে অভিযুক্ত ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিন করেন পুলিশ। দীর্ঘ সাড়ে ৯ বছর মামলার স্বাক্ষ্য প্রমান গ্রহন শেষে আদালতের বিচারক অভিযুক্তদের উপস্থিতিতে মামলার রায় ঘোষনা করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয় আতিক হাসানের একটা যাবজ্জীবন সাজা শেষে আরেকটা যাবজ্জীবন কারাদন্ড সাজা শুরু হবে এবং প্রত্যেকের জরিমানার অর্থ ভিকটিম ছাত্রী পাবে।