উফশী আউশ ধান উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সদর উপজেলার ৫০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত একই অনুষ্ঠানে উপজেলার তিনজন আদর্শ কৃষকের হাতে পঞ্চাশ ভাগ ভর্তুকি মূল্যে কম্বাইন্ড হার্ভেষ্টার মেশিনের চাবি তুলে দেওয়া হয়। নাটোর-২ আসনের (নাটোর সদর ও নলডাঙ্গা) সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত হন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য শিমুল বলেন, কৃষি বান্ধব বর্তমান সরকার প্রণোদনা ও পূণর্বাসন কর্মসূচী নিয়ে সব সময় কৃষকদের পাশে থাকে। কৃষি ও কৃষকের কল্যাণে সরকারের গৃহীত অসংখ্য কার্যকর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কারনেই খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে বাংলাদেশ খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে কৃষিতে আমাদের অগ্রযাত্রা ভবিষ্যতে আরো বেগবান হবে। নাটোর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর আলম সভা প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অধ্যাপক শামসুল ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোর্ত্তজা আলী বাবলু, নাটোর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ-আল-সাকিব বাকি এবং উপজেলা কৃষি অফিসার মেহেদুল ইসলাম। নাটোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান ভার্চুয়ালি বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় প্রত্যেক কৃষক নিজের এক বিঘা জমিতে আউশ ধান চাষাবাদের জন্যে বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় পাঁচ কেজি বীজ এবং সার সহায়তা বাবদ ২০ কেজি করে ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি সার পাচ্ছেন। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধির সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের মনোনীত ৮০ জন প্রান্তিক কৃষককে সার ও বীজ হস্তান্তর করা হয়। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ইউনিয়নের কৃষকবৃন্দকে সার ও বীজ প্রদান করা হবে। আউশের আবাদ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সরকার প্রণোদনার মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে ব্রি ধান-৪৮, ব্রি ধান-৫৫, ব্রি ধান-৮২ এবং বিনা ধান-১৯ এর মত উন্নত আউশ ধানের বীজ সরবরাহ করছে। এসব উফশী জাতের ফলন অনেক বেশী এবং প্রায় বোরো ধানের কাছাকাছি। বাজারে ধানের দামও ভালো। কৃষকগণ সরকারের প্রণোদনা গ্রহন করে পুনরায় আউশ আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন কৃষি কর্মকর্তা।