নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরে চিকিৎসক ও শিক্ষিকার অবাধ যৌনাচারের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। কয়েকমাস আগে ভিডিওটি করা হলেও সম্প্রতি তা ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে শহরের সচেতন মানুষের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, নাটোর শহরের পশ্চিম আলাইপুর হাফরাস্তা এলাকায় বসবাসকারী কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ আমিনুল ইসলাম লিপন এবং নাটোর সিটি কলেজের সমাজকল্যাণ বিষয়ের প্রভাষক নাজমুন নাহার সাথীর ৪০ মিনিট ও ২৮ সেকেন্ডের অবাধ যৌনাচারের দুটি ভিডিও শহরের অনেকের মোবাইলে মোবাইলে ঘুরছে। চিকিৎসক ও স্কুল শিক্ষিকার আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশ হওয়ায় শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। একজন চিকিৎসক ও শিক্ষিকার এ ধরণের অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পরার ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে নিন্দার ঝড় বইছে। অনৈতিক কাজে লিপ্ত শিক্ষিকা ও চিকিৎসকের নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে দুজনের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী করছেন সচেতন মহল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানান, শিক্ষিকা নাজমুন নাহার সাথী নিজেই মোবাইলে গোপনে ভিডিও ধারণ করেন। পরে ভিডিওটি তিনি নিজেই কয়েকজনকে সরবরাহ করেন। এরই একপর্যায়ে কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা ও একজন এ্যাডভোকেটের উপস্থিতিতে ডাক্তার লিপনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন ঐ শিক্ষিকা।
এ বিষয়ে জানতে চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম লিপনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন। অন্যদিকে নাজমুন নাহার সাথীকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
নাটোর সিটি কলেজের অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন খান বিষয়টি খুবই বিব্রতকর আখ্যায়িত করেন। খুব দ্রুতই এ বিষয়ে মিটিং ডেকে শিক্ষিকার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানান তিনি।
অপরদিকে, কলেজের সভাপতি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইসতিয়াক আহমেদ ডলার বলেছেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এ ঘটনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। তাদের অপকর্মের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। এটি সমাজের জন্য চরম লজ্জাজনক বিষয়। শিক্ষকতা আদর্শের পেশা। শিক্ষার্থী ও সমাজের মানুষ তাদের অনুসরণ করেন। একজন শিক্ষিকার এমন ভিডিও সমাজের অবক্ষয় ছাড়া কিছুই না। এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সভা ডেকে ব্যবস্থা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, চিকিৎসক ও শিক্ষিকার ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত রিপোর্ট সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।