নাটোর প্রতিনিধি:
২০২১ সালের ২ থেকে ৮ জানুয়ারি সারাদেশে পরিচালিত হতে যাচ্ছে ৬ষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র পরবর্তী জনশুমারি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আজ বৃহম্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী। প্রকল্পের আওতায় শুমারির প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম হিসেবে আগামী মাসে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে দেশব্যাপী খানা তালিকা প্রণয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সংশ্লিষ্ট সকলকে শুমারি বাস্তবায়ন পদ্ধতি অবহিতকরণ এবং খানা তালিকা প্রণয়নসহ মূল শুমারি অনুষ্ঠান সম্পর্কে নাটোর জেলার বিশেষজ্ঞ এবং অংশীজনদের মতামত গ্রহণের লক্ষ্যে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
পরিসংখ্যান আইন ২০১৩ অনুযায়ী আদমশুমারিকে “জনশুমারি” হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। দেশে সর্বশেষ “আদমশুমারি ও গৃহগণনা” ২০১১ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক পরিচালিত হয়েছিল- যার হিসাব মতে তখন দেশে মোট জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১৪ কোটি ৪০ লাখ।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন নাটোরের জেলা প্রশাসক মো: শাহরিয়াজ। অন্যান্যের মধ্যে সভায় উপস্থিত ছিলেন গৃহগণনা ২০২১ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জাহিদুল হক সরদার, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, নাটোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সাজেদুর রহমান খান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক গোলাম রাব্বী, নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী বলেন, সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা পরিবীক্ষণ ও গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণে জনশুমারির তথ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অংশীজনের (স্টেকহোল্ডার) গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ এবং মূল্যবান মন্তব্য এই বৃহৎ, জটিল ও শ্রমসাধ্য জনশুমারি ও গৃহগণনার তথ্য ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক পর্যায়ে পরিকল্পনা গ্রহণ ও উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনার নিমিত্ত বেঞ্চমার্ক হিসেবে পরিগণিত হবে।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আরও জানান যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশত বার্ষিকী অর্থাৎ ১৭ মার্চ ২০২০ হতে শুমারির ক্ষণগণনা শুরু হবে এবং ২০২১ সালের ২ জানুয়ারি জিরো আওয়ারকে রেফারেন্স পয়েন্ট ধার্য করা হয়েছে।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক শুমারিতে তথ্য প্রদানে জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
সভায় বাংলাদেশে ইতোপূর্বে পরিচালিত জনশুমারি ও গৃহগণনার বিবরণ তুলে ধরে ২০২১ সালে অনুষ্ঠেয় জনশুমারিতে অন্তর্ভূক্ত নতুন বৈশিষ্ট্যসমূহ তুলে ধরে জানান হয়, প্রচলিত সাক্ষাৎকার পদ্ধতির পাশাপাশি জনশুমারি ২০২১ কার্যক্রমে ই-সেন্সাস এর মাধ্যমে (মাল্টি মোড এ) তথ্য সংগ্রহ করা হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভূত উন্নয়ন এর উল্লেখ করে মোবাইল অ্যাপস্ এর মাধ্যমে খানা তালিকা প্রণয়ন কার্যক্রম সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান হয়। বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী এবং বাংলাদেশে অবস্থানকারী বিদেশীগণের তথ্যও এবারের শুমারিতে সংগ্রহ করা হবে। শুমারিতে মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৭৬২ কোটি টাকা।