নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরে পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের খসড়া ভোটার তালিকা ঘোষণার পর নতুন করে জাল স্বাক্ষরে মাধ্যমে সদস্য তৈরির অভিযোগ এনেছে সংগঠনের সদস্যদের একাংশ। তারা অভিযোগ করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সুপ্রিয় ভৌমিক একটি বাড়িতে বসে ওইসব ভোটার তালিকায় বর্তমান সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে সই করছেন। শনিবার মাদ্রাসা মোড় এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই অভিযোগ এনে অনতি বিলম্বে নির্বাচন বন্ধ করে নতুন নির্বাচন পরিচালিনা কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন সম্পন্ন করার দাবী করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সভাপতি পদপ্রার্থী জেলা পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য ও শ্রমিক নেতা মিঠুন আলী। সংবাদ লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সুপ্রিয় ভৌমিক আরও কয়েকজনকে নিয়ে একটি বাড়িতে বসে নতুন করে ভোটার তালিকা তৈরী করাসহ বর্তমান সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে সই করছেন। যার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনতি বিলম্বে নির্বাচন প্রক্রিয়া বন্ধ করে নতুন নির্বাচন পরিচালিনা কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন সম্পন্ন করার দাবী করেছেন। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল। কিন্তু আদালতে মামলা থাকায় নির্বাচনের স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। কিন্তু তা অমান্য করে করে নির্বাচনের সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক সদস্য মানিক শেখসহ অন্যান্য শ্রমিক সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন খসড়া ভোটার তালিকায় ৪ হাজার ৪৪৪জন ভোটার আছে বলেনির্বাচন কমিশনার দাবী করলেও পরে আদালতে বলা হয ৬ হাজার ভোটার আছে। পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের একটি অফিস থাকা সত্বেও অন্য একটি বাড়িতে বসে নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী রিপন ও পলাশ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সুপ্রিয় ভৌমিকসহ বেশ কয়েকজন বসে কার্ডগুলো তৈরী করছেন যা বে-আইনী এবং! সংগঠন বিরোধি।
নির্বাচনী ফলাফল নিজেদের পক্ষে আনার জন্য তারা এই কার্ডগুলো তৈরী করছে বলে অভিযোগ করা হয়। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায় ওইসব ভোটার কার্ডে শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কামরুল ইসলামের স্বাক্ষর করছেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সুপ্রিয় ভৌমিক। যা সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধি। এজন্য তারা মনে করেন এই নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দ্বারা নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে পারে না। তারা শ্রমিকদেও স্বার্থে নির্বাচনের সকল কার্যক্রম বন্ধ ও নতুন করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করে তার মাধ্যমে শমিক ইউনিয়নের নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবী জানান।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সুপ্রিয় ভৌমিক জানান, লোকবল সংকটের কারণে শহরের বড়গাছা এলাকায় ভলিয়ম বই দেখে কয়েকজনকে নিয়ে খসড়া ভোটারের তালিকা হালনাগাদ করছিলেন তিনি। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে সংগঠনের কতিপয় সদস্য।