নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরে খালার বাড়ীতে বেড়াতে যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক যুবতীকে গণধষর্ণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ৫ ধর্ষককে আটক ও ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতরাতে সদর উপজেলার ছাতনী গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ধর্ষিতা যুবতী নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার খোরশেদ আলমের মেয়ে।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনছুর রহমান ও ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে মায়ের ওপর অভিমান করে বাড়ী থেকে বের হয়ে খালার বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হয় ওই যুবতী। পথে সদর উপজেলার ছাতনী দিয়ার গ্রামে পৌছালে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে স্থানীয় এক যুবক শহিদুল ইসলামের সাথে পরিচয় হয়। এ সময় শহিদুল ওই যুবতীকে তার খালার বাড়ীতে পৌছে দেওয়ার কথা বলে দুজনে পায়ে হেটে রওনা দেয়। পথে স্থানীয় কয়েকজন বখাটে যুবক তাদের পিছু নেয়। পরে ছাতনী ভাটপাড়া শ্মশান ঘাট এলাকায় পৌছালে বখাটে যুবকরা শহিদুলকে ভয় দেখিয়ে যুবতীকে ছিনিয়ে নেয়। তারা পাশের একটি লেবু বাগানে নিয়ে গিয়ে যুবতীকে গণধর্ষণ করে। বিষয়টি পুলিশ (ডিএসবি) জানতে পেরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানকালে ঘটনাস্থল থেকে ৫ ধর্ষণকারীকে আটক করে এবং ভিকটিম যুবতীকে উদ্ধার করে। এ সময় আরো তিনজন ধর্ষনকারী পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।