নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার দায়ে অ্যাম্বুলেন্স চালক আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে স্বপ্রণোদিত হয়ে অপরাধ আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। আজ শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা ২২ মিনিটে এই পরোয়ানা জারি করেন সিনিয়র জুডিসয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ। অভিযুক্ত বেসরকারী অ্যাম্বুলেন্স চালক আমজাদ উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে।
আদালতের আদেশের বরাত দিয়ে ঐ আদালতের স্টেনোগ্রাফার শহিদুজ্জামান বলেন, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে চিকিৎসকের পরিবর্তে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছিলেন অ্যাম্বুলেন্স চালক আমজাদ হোসেন। মুহুর্তেই সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ছবিতে দেখা যায়, ব্যক্তিমালিকানাধীন অ্যাম্বুলেন্স চালক আমজাদ হোসেন স্টেথোস্কোপ লাগিয়ে জরুরী বিভাগে রোগীর প্রেসার পরিক্ষা করে দেখছেন।
বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আসে। পরে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আমজাদের চিকিৎসা দেয়ার সত্যতা পায়। বিষয়টি বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ এর ২২ এবং ২৮ ধারায় ফৌজদারী অপরাধ বলে আদেশে উল্লেখ করেন আদালত। শনিবার সন্ধ্যায় আসামীর বিরুদ্ধে স্বপ্রণোদিত হয়ে অপরাধ আমলে গ্রহন করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পাশাপাশি আগামী ১৯ অক্টোবর তারিখে আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলের প্রতিবেদন দিতে পুলিশকে নির্দেশ দেন এই আদালত।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. সুরুজ্জামান বলেন, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে আমজাদ একজন রোগী নিয়ে আসেন। এ সময় জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. জামিলা আক্তার এবং তার সহকারী ইয়াসমিন অন্য রোগী নিয়ে ব্যস্ত থাকার সুযোগে আমজাদ ঐ রোগীর প্রেসার পরীক্ষা করেন। এতে করে আমজাদ নিজেও বিপদে পড়েছেন, হাসপাতালের সম্মানও নষ্ট করেছেন। তবে আদালতের কোন আদেশের বিষয়ে তিনি জানতে পারেননি বলেও জানান।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনোয়ারুজ্জামান বলেন, আদালতের স্বপ্রণোদিত হয়ে আমলে গ্রহন করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি জেনেছি। আসামীকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।