নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোর নবাব সিরাজ উদ্ দৌলা সরকারী কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক সেলিম রেজার বিরুদ্ধে একাদশ শ্রেনীর এক ছাত্রীকে কু-প্রস্তাবের অভিযোগ করা হয়েছে। আজ সোমবার
বাংলাদেশ সাইবার টিমের সহযোগিতায় কলেজের উপাধ্যাক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নিজেই। এ ঘটনায় প্রভাষক সেলিম রেজাকে কলেজ চত্তর থেকে বেলা ১২টার দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার করে নাটোর সদর থানায় পুলিশ হেফাজতে সোপর্দ করেছে।
অভিযোগকারী শিক্ষার্থী বলেন, প্রভাষক সেলিম রেজা কলেজে শিক্ষকতার পাশাপাশি ভাড়া বাড়িতে প্রাইভেট পড়ান। প্রাইভেট পড়ানোর সময় তিনি দীর্ঘদিন থেকে তার দিকে কু-দৃষ্টিতে তাকানোসহ বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিয়ে আসতেন। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তিনি তাকে চলতি বর্ষের একাদশ শ্রেনীর বার্ষিক পরিক্ষায় অকৃতকার্য করেন। পরে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যাক্তিগত ভাবে দেখা করতে বলেন। পরে বিকালে প্রাইভেট পড়তে গেলে তিনি তার শরীরের স্পর্শকাতর জায়গাগুলোতে স্পর্শ করেন ও প্রাইভেটে একা আসার জন্য বলেন। এসব ঘটনা সাইবার টিমের সদস্যদের জানান তিনি।পরে তাদের সহযোগিতায় একটি অভিযোগ কলেজ কর্তৃপক্ষের নিকট দেয়া হয়।
সাইবার টিমের সদস্য সাদাত রহমান, বলেন, নাটোর নবাব সিরাজ উদ্ দৌলা সরকারী কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক সেলিম রেজা একাদশ শ্রেনীর ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে। এমন অভিযোগে আমরা সাইবার টিম এখানে আসি। শিক্ষার্থীকে আজ ছুটির দিন তার প্রাইভেট রুমে আসতে বলেন। পরে সেখানে আমরা সহ যাই। এ সময় সেলিম রেজার মোবাইল ফোন চেক করে আরো অনেক শিক্ষার্থীদের সাথে আপত্তিকর ম্যাসেজ এর প্রমান পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সেলিম রেজাকে তার প্রাইভেট পড়ানোর বাড়ি থেকে কলেজে আনা হয়। পরে ঘটনাটি কর্তৃপক্ষকে লিখিত আকারে জানানো হয়। আমরা এমন শিক্ষকের বিচার দাবি করছি।
কলেজের অন্য শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান সহ অন্যরাও এমন ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অপরাধীর বিচার দাবী করেন।
নবাব সিরাজ উদ-দৌলা সরকারী কলেজের উপধ্যাক্ষ প্রফেসর আব্দুল বারী মির্জা জানান, কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক সেলিম রেজার বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব এর অভিযোগ দিয়েছেন একাদশ শ্রেনীর এক শিক্ষার্থী। প্রাথমিক ভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আরো তদন্ত করে প্রভাষক সেলিম রেজার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, সেনা বাহিনীর সদস্যরা একজনকে থানা হেফাজতে রেখে গেছেন। বিষয়টি নিয়ে এখনো তার কাছে কোন অভিযোগ নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।