নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোর সদর হাসপাতাল থেকে ৪ মাসের মেয়াদ উত্তীর্ণ সিপ্রোফ্লক্সাসিন ড্রাই সিরাপ ওষুধ বিতরনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে এমনই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মৃদুল হোসেন। তার বাড়ি সিংড়া উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের মঠগ্রাম এলাকায়। অভিযোগকারী মৃদুল হোসেন বলেন গত ১০ সেপ্টেম্বর শনিবারে তিনি তার ছেলে আনাফ হোসেন সানিকে ডাক্তার দেখাতে সদর হাসপাতালে আসেন। সেখানে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সুমনা সরকার রুগী সানী কে দেখে সিপ্রো, জিংক ও ওরস্যালাইনের ব্যবস্থাপত্র লিখে দেন। ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী বহির্বিভাগ থেকে উপরোক্ত ওষুধ গুলো বিতরন করেন রেবেকা ইসলাম। কিন্তু বাড়িতে গিয়ে ছেলেকে ওষুধ খাওয়াতে গিয়ে দেখেন সিপ্রো ওষুধের মেয়াদ ৪ মাস আগে অর্থাৎ মে ২০২২ এই উত্তীর্ণ হয়েছে। তিনি আরোও অভিযোগ করেন বহির্বিভাগের ওষুধ সরবরাহকারী রেবেকা ইসলাম রুগী ও তার সহযোগীদের সাথে খারাপ আচরন করেন। আবার ওষুধ পর্যাপ্ত থাকলেও তা রুগীদের সরবরাহ করেন না।
এ ব্যাপারে নাটোর সদর হাসপাতালের আরএমও ডাঃ এম,এ, মমিন বলেন ব্যাপারটা দুঃখজনক। কারন মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধগুলো আলাদা করে ট্যাগ দেয়া হয়। পরে তা ধ্বংস করা হয়। আসলে এটা একটা মিসটেক। এ ধরনের ঘটনা সাধারনত ঘটে না। তবে তদন্ত করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নাটোর সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ পরিতোষ কুমার বলেন দুই একটা ওষুধ যে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয় না তা নয়। হতে পারে। কারণ আমাদের তো সরকারী ওষুধ। এই মালামাল গুলো বছর শেষে দুই একটা যে মেয়াদ উত্তীর্ণ থাকবে না তা নয়। মেয়াদ উত্তীর্ণ কোন অপরাধ নয়। এটা বিতরনের সমস্যা। আমাদের জানা মতে সিপ্রোফ্লক্সাসিন ড্রাই সিরাপ স্টোরে নাই। বহির্বিভাগ চাহিদাপত্র অনুযায়ী ওষুধ নেয়। সেখানে দুই একটা মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ থাকতেও পারে। তবে এটা আনএক্সপেক্টেড। ওষুধ বিতরনের আগে মেয়াদের তারিখ দেখে নেয়া উচিত। এব্যাপারে প্রশাসনিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযোগের ব্যাপারে বহির্বিভাগের ওষুধ বিতরনকারী রেবেকা ইসলাম জানান গত ১০ সেপ্টেম্বর আমাদের বহির্বিভাগে ১০ টা সিপ্রোফ্লক্সাসিন ড্রাই সিরাপ ছিল। তারমধ্যে ২ টা বিতরন করা হয়েছে। আর রোগীর এতো চাপ থাকে যে মেজাজ ঠিক থাকে না। তখন হয়তো একটু রাফ ব্যবহার হয়ে যায়। তবে ওষুধ থাকা পর্যন্ত তা বিতরণ করা হয় বলে তিনি জানান।