নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে দুই সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের এক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে পুলিশ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস নয়নকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়। তিনি ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে কর্মরত।
এর আগে বুধবার রাতে ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারীর সাথে দুই বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় পুলিশ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস নয়নের। ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে নয়নের সাথে প্রায়ই কথা হতো ওই নারীর। কথা বলার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের এই সম্পর্কের কারণে নয়ন প্রায় সময়ই ওই নারীর বাসায় যাতায়াত করতেন। গত ৬ অক্টোবর বিকালে নয়ন আবারও ওই নারীর বাসায় যান। এসময় নয়ন বিয়ে সংক্রান্ত বিষয়ে আলাপ আছে বলে দরজা বন্ধ করে দেন।
ওই নারী দরজা বন্ধ করতে বারণ করলে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ আনা হয় নয়নের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইশতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস নয়নকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক জানান, ওই নারী সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকার একটি বিউটি পার্লারে কাজ করেন। কয়েক বছর আগে প্রেমের সূত্র ধরে তদের বিয়ে হয় বলে দাবি করেন। তবে তাদের কোনও কাবিননামা ও বিয়ের রেজিস্ট্রি নথি নেই। মসজিদের হুজুর ডেকে বিয়ে পড়ানো হয়। বুধবার রাতে ওই তরুণী থানায় এসে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। তরুণীর অভিযোগ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে নয়ন।