ডেস্ক নিউজ
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, যে কোনো দুর্যোগে নারীরা বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকে। কভিডের সময়েও নারীরা অনেক দুর্ভোগ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে যা অপ্রত্যাশিত। নারী নির্যাতন, লিঙ্গবৈষম্য ও সামাজিক অসমতাকে জোরালোভাবে প্রতিরোধ জরুরি। কেননা, নারীকে পেছনে রেখে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের উদ্যোগে গতকাল কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে ‘উইমেন পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি সেমিনার ২০২২’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান। সেমিনারে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বিচারপতি নাইমা হায়দার, লে. জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান, লে. জেনারেল মাহফুজুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মসিউর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমা বেগম, ড. মো. তৌহিদুল ইসলাম, ড. রাসেদ উজ জামান, ড. রুবানা হক প্রমুখ।
এদিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার গতকাল সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ সব সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। এই সুসম্পর্ক ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উইমেন পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি সেমিনারে স্পিকার বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই সমতাভিত্তিক বৈশ্বিক লক্ষ্য অর্জনে নারীরাই পরিবর্তনের সক্রিয় এজেন্ট। তাই টেকসই শান্তি ও নিরাপত্তার লক্ষ্য অর্জনে নারীদের সম্পূর্ণ ও অর্থবহ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। চ্যালেঞ্জ উত্তরণ করে নিজ সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে নারীরা বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণ ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় নারীদের এগিয়ে নিতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
মিলারের বিদায়ী সাক্ষাৎ : মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বিদায়ী সাক্ষাৎকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আশা প্রকাশ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও সুদৃঢ় হবে। এ সময় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় সব সময় পাশে থাকবে।