যশোরের অভয়নগরে এক নারী সহকর্মীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুসেইন খান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শরিফ মোহাম্মদ রুবেলের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ওই সহকারী প্রোগ্রামার দাবি করেন, আপত্তিকর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মানসিক নিপীড়নের পাশাপাশি দেয়া হয়েছে হত্যার হুমকিও।
২২ ডিসেম্বর মহাপরিচালকের কাছে কর্মস্থলে যৌন হয়রানি ও জীবননাশের হুমকির লিখিত অভিযোগ দেন প্রাচী। তার অভিযোগ, কর্মস্থলে যোগ দেয়ার পর থেকেই্ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুসেইন খান তাকে নানাভাবে উত্যক্ত করতেন। এক পর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শরিফের মাধ্যমে তাকে কুপ্রস্তাব দেন। রাজি না হওয়ায় নানাভাবে হয়রানি করা হয় তাকে। সম্প্রতি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শরিফ মোহাম্মদ রুবেলের সাথে তার কথোপকথনের একটি অডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এরই মধ্যে ভুক্তভোগী ওই নারী কর্মকর্তাকে মানিকগঞ্জ শিবালয় উপজেলায় বদলি করা হয়েছে।
তবে প্রাচীর সব অভিযোগ অস্বীকার করে ইউএনও নাজমুল হুসেইন ও পিআইও শরিফ দাবি করেন, ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন তারা।
বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান।
তিনি জানান, অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শাম্মী ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ ওই নারী কর্মকর্তা অভয়নগর উপজেলায় সহকারী প্রোগ্রামার হিসেবে যোগদান করেন।