ডেস্ক নিউজ
নিখোঁজের দুইদিন পর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের ৫ম বর্ষের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে শহরতলীর মুন্সিবাজার এলাকার একটি স-মিলের কাঠের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের নাম নয়ন চন্দ্র নাথ(২৪)। তিনি ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার আজিজ ফাজিলপুর গ্রামের মৃত দিলীপ চন্দ্র নাথের ছেলে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি সকলের ছোট।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এই ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিল।
নয়নের বন্ধু মো. ওয়াকিফ উল আলম জানান, বেশ কিছুদিন যাবত নয়ন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। তার ইচ্ছে ছিল একজন সার্জন হওয়ার। কিন্তু ডান হাতের আঙুলে সমস্যা থাকার কারণে তিনি সার্জন হতে পারবে না, এটা জানার পর থেকেই নয়ন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।
তিনি জানান, নয়ন মেডিকেল কলেজ ছাত্রবাসের ৫১০ নম্বর কক্ষের নিবাসী ছিলেন। তবে পরীক্ষার পড়াশুনার জন্য তিনি ১০৪ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
কলেজের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে নয়টার দিকে থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট ও নীল রঙের টি শার্ট পড়ে মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাস থেকে বের হন নয়ন। যাওয়ার সময় তিনি মুঠোফোন ও মানিব্যাগ রুমে রেখে যান।
গত ৩ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে তার শেষ পেশাগত মেডিকেল পরীক্ষা। ছয়টি লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা। নয়ন তিনটি লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার ছিল চতুর্থ পরীক্ষা। সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার অন্তত সোয়া এক ঘণ্টা আগে নয়ন ছাত্রাবাস থেকে বের হয়ে যান।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এসএম খবিরুল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার নয়নের পরীক্ষা ছিল। কিন্তু সে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। দুপুর ১টার দিকে ছাত্ররা আমাকে জানায় নয়নকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।