নিউজ ডেস্ক:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি নূর চৌধুরীর অভিবাসন স্ট্যাটাস সংক্রান্ত তথ্যের বিধিনিষেধ তুলে নিতে দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশের আবেদন মঞ্জুর করেছেন কানাডার ফেডারেল কোর্ট।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আদালতের রায়ে বলা হয়, নূর চৌধুরীর অবস্থান জানতে চেয়ে বাংলাদেশ যে আবেদন করেছে তা বৈধ। এ ধরণের তথ্য প্রকাশ জনস্বার্থের কোনো ক্ষতির কারণ হবে না। কানাডিয়ান আদালতের এমন রায়ে বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরীকে ফেরানোর প্রক্রিয়ায় আরো একধাপ এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ।
এদিকে জানা গেছে, নূর চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আইন প্রক্রিয়ায় কানাডার আদালতের এমন আদেশে অস্বস্তিতে পড়েছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও একাধিক দুর্নীতি মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান। কানাডার আদালতের এমন পর্যবেক্ষণের পরপরই ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড কার্লাইলের সাথে সাক্ষাৎ করে পরামর্শও গ্রহণ করেছেন তারেক। আত্মস্বীকৃত খুনির বিষয়ে কানাডার মতো উদার দেশ যদি ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ায় প্রাথমিক সমর্থন দেয়, তাহলে তার মতো দণ্ডিত আসামিকেও যুক্তরাজ্য সরকার দেশে ফেরত পাঠাতে পারে, এমন শঙ্কা ভর করেছে তারেকের মনে।
লন্ডনভিত্তিক একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রের বরাতে তারেক রহমানের এমন অবস্থা সম্পর্কে জানা গেছে।
একটি সূত্র বলছে, লন্ডনে বসেই নূর চৌধুরীকে ফেরাতে সরকারের তৎপরতার সকল খবর রাখছিলেন তারেক রহমান। নূর চৌধুরীর পরিবারের সাথে তারেক রহমানের গোপন যোগাযোগের বিষয়ে অনেক গুঞ্জনও উঠেছে বিভিন্ন সময়ে। তারেক রহমানের পরামর্শে নূর চৌধুরীর কানাডায় আশ্রয় নেয়া ও সাবেক বিতর্কিত প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সাথেও যোগাযোগ করে তাকে কানাডায় আশ্রয় গ্রহণের বিষয়ে সহায়তা করেন। কানাডিয়ান আদালতের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব বুঝতে পেরেই নূর চৌধুরী তারেক রহমানের সহায়তাও চান বলে জানা গেছে।
যদিও তারেক রহমান ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড কার্লাইলের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য সরকারকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন বলে নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র মারফত জানা গেছে। বিশেষ করে লন্ডনে তার বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের বিষয়টি নজরে এনে যুক্তরাজ্য সরকারকে ম্যানেজ করবেন বলেও জানা গেছে। আর শেষ পর্যন্ত এই মিশনে সফল না হলে গোপনে মালয়েশিয়া চলে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে তারেক রহমানের।