জাপান থেকে দিয়াবাড়ী পর্যন্ত নৌপথ পাড়ি দিয়ে আসবে মেট্রোরেল। প্রথমে জাপানের ওবে বন্দর থেকে জাহাজে করে মোংলা, সেখান থেকে তুরাগ নদ। চলতি মাসেই মেট্রোরেলের প্রথম পাঁচটি ট্রেনের নির্মাণ শেষ হবে। জানুয়ারিতে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের সামনেই জাপানে হবে পাঁচ দফা ট্রায়াল রান।
উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এমআরটি লাইন ছয়-এ প্রতি তিন মিনিট পরপর আসবে একটি করে ট্রেন। সেই হিসেবে এই রুটে দরকার হবে বিশটি ট্রেন। তবে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৈরি থাকবে আরো চারটি অতিরিক্ত ট্রেন। তাই জাপানে প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে ২৪টি রেলের অর্ডার দিয়েছে বাংলাদেশ।
চুক্তি অনুসারে ডিসেম্বরেই প্রস্তুত থাকবে প্রথম পাঁচটি ট্রেন। যা জানুয়ারিতে জাপানে ট্রায়াল দেয়া হবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের সামনে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, শিফমেন্টের জন্য যখন জাহাজীকরণ করা হবে। তার আগে জাপানে পাঁচটা টেস্ট করতে হয়। সেই টেস্টটা আমাদের এখানে যে কারিগর দল রয়েছে; তাদের সামনে করতে হবে। তারা চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে জাপান যাবে।
তিনি আরো বলেন, দিয়াবাড়িতে থেকে তার পরবর্তী যে অংশটুকু আছে.. সেটা ডিপোতে নিয়ে আসা হবে। প্রথম একটা ট্রেন নিয়ে আসার উদ্দেশ্য হচ্ছে, এই যে একটা পরিকল্পনা করা হয়েছে সেটা কতটুকু ইফেক্টিভলি কার্যকর হচ্ছে তা দেখা।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জাপানের ওবে বন্দর থেকে প্রথম মেট্রোরেলটি নিয়ে আসা হবে মোংলা বন্দরে। সেখান থেকে জাহাজে করে সরাসরি আসবে তুরাগে। নোঙ্গর হবে দিয়াবাড়িতেই। এই প্রক্রিয়া সহজ হলে একইভাবে পরের দুটি করে চারটি আসবে একই রুটে।
এরই মধ্যে চারটি ট্রেন নির্মাণ শেষ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।