ডেস্ক নিউজ
অভিযান-১০ লঞ্চের মতো আগুনের ঘটনা যাতে সামনে না আর ঘটে, সে লক্ষ্যে সব যাত্রীবাহী লঞ্চ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের জন্য পাঁচটি কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। সংস্থার পরিচালক ও প্রধান প্রকৌশলীদের নেতৃত্বে এসব কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়। কমিটিগুলোকে লঞ্চ পরিদর্শন করে ত্রুটি-বিচ্যুতি চিহ্নিত করা এবং ত্রুটি নিরসনে সুপারিশ করতে বলা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, পর্যায়ক্রমে কমিটিগুলো প্রতি সপ্তাহে দুই দিন সদরঘাট সরেজমিন পরিদর্শন করবে। লঞ্চ পরিদর্শনের সময় কমিটির সঙ্গে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। সকাল ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সদরঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চের সাধারণ ও কারিগরি দিক পর্যবেক্ষণ করবে এসব কমিটি। এ সময় যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার মতো কোনও ত্রুটি পেলে ওই লঞ্চের যাত্রা বাতিল করবে। এছাড়া অনিয়ম ও গাফিলতি পেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দায়ীদের সাজা দেবেন।
পাঁচটি কমিটির প্রধানরা হলেন—বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক (বওপ) কাজী ওয়াকিল নওয়াজ, পরিচালক (সওপ) মো. শাহজাহান, প্রধান প্রকৌশলী (প্রকৌশল বিভাগ) মো. মহিদুল ইসলাম, পরিচালক (নৌনিট্রা) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং প্রধান প্রকৌশলী (এমএমই বিভাগ) মো. আতাহার আলী সরদার।
কমিটি গঠনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নৌপথে কোনও ধরনের দুর্ঘটনা হোক তা আমরা কখনোই চাই না। তবু অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে এসব কমিটি গঠন করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে সারা দেশে চলাচল করা সব লঞ্চ কঠোর মনিটরিংয়ের আওতায় আনা হবে।’